বিলুপ্তির মুখে দোহার-নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প

1607
তাঁত শিল্প বিলুপ্তির মুখে

দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প বিলুপ্তির মুখে, সারা দেশের মত দোহার-নবাবগঞ্জে চলছে তাঁত শিল্পের দুর্দিন। এই শিল্পের উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও পাওয়ারলুমের লুঙ্গি দেশের বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় এই দুই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প আজ হুমকির মুখে

দোহার-নবাবগঞ্জের এখনও অনেক গ্রাম আছে যারা আজও তাঁত শিল্পের কাজ করে। এই সব এলাকার তাঁত শিল্পের সুনাম রয়েছে দেশে-বিদেশে। কিন্তু বর্তমানে প্রয়োজনীয় পুজির অভাবে ও উপকরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকে তাঁত শিল্প থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অনেকে ঋনের দয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। তারা আজ দিনমজুরি, রিক্সা চালনাসহ নানা পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।

দোহারের দেওভোগ গ্রামের তাঁতী হায়াত আলী বলেন, “এক সময় তার পাঁচটি তাঁত ছিল। কিন্তু বাজারে উপকরনের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এখন তেমন কোন লাভ পাই না। তাই তাঁত বিক্রি করে দিয়েছি।”

নবাবগঞ্জ উপজেলার খানিপুর গ্রামে এক তাঁতী বলেন, “এক সময় তার নিজের তৈরি করা লুঙ্গি বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি করে তার সংসার আর্থিক ভাবে সচ্ছল ছিল। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে সবকিছু বন্ধ। তিনি ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন।”

অন্য খবর  মাঠের কর্মি হিসেবে সবসময় প্রস্তুত আছি – আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি পদে প্রার্থী জয়নাল আবেদীন

এক সময় এরকম অনেক তাঁতি ছিল যা বর্তমানে এরকম অর্ধেকও নেই। পুজির অভাবে সুতা, রং সহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধির ফলে কাপড়ের খরচ বর্তমানে অনেক বেশি পড়ে যায়। কিন্তু দাম সে হিসাবে বেশি পাওয়া যায় না। এই লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এখানকার শতশত তাঁত। তাঁত শিল্প বিলুপ্তির মুখে তাই পৈত্রিক পেশা ছেড়ে তাঁতীরা ঝুকছে নতুন কর্মসংস্থানের দিকে। আর অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে পদে পদে হয়রানি হচ্ছে। অনেকে আবার এ পেশা ছেড়ে চলে গেছে বিদেশে।

আপনার মতামত দিন