জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে (মডেল স্কুল) বুধবার প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ পাল এর কক্ষে লাঞ্ছিত হয়েছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদ। তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক আ. সালাম, মিজানুর রহমান মল্লিক, প্রকাশ নাগ সহ আরো ২/৩ জন শিক্ষক লাথি, চড় ও গলা ধাক্কা দেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক সহ আরো কয়েকজন শিক্ষকের সাথে বিরোধের জের এই ঘটনা ঘটেছে।
মূলত প্রধান শিক্ষক হিসাবে ইন্দ্রজিৎ পাল নিয়োগ পেলেও তিনি সরকারি এমপিও ভূক্ত নন। পক্ষান্তরে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদ এমপিও ভূক্ত। আর মডেল স্কুলের বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের যে কোনো একজন সরকারি এমপিও ভূক্ত হবেন এবং টাকা পাবেন। সহকারি প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদ স্কুলের এই সব সদস্যদের আনুকূল্যে নিয়োগ পেলেও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায়, মোশতাক আহমেদকে স্কুলের পরিক্ষায় গার্ড দিতে বলা হলে তিনি গার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানান বরং পরিদর্শক হতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের সাথে তার প্রচন্ড বাকবিতন্ডতা ও রাগারাগি হয়। আর এই বাকবিতন্ডতার পুরো কথা মিজানুর রহমান মল্লিক তার মোবাইলে রেকর্ড করেন। এ সময় মোশতাক আহমেদ স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে উদ্দ্যেশে করে বাজে মন্তব্য করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত থেকে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর আগে প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ পাল দপ্তরী মারফত তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নেন। এরপর ম্যানেজিং কমিটির উপস্থিত এক সদস্য বর্তমানে সরকারি দলের অংগ সংগঠনের এক নেতা তাকে উক্ত বাজে কথার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি চেয়ার উচু করেন।
এরপর উপস্থিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক আ. সালাম, মিজানুর রহমান মল্লিক ও প্রকাশ নাগ তাকে গালিগালাজ করেন এবং আ. সালাম, মিজানুর রহমান মল্লিক, প্রকাশ নাগ তাকে লাথি মারেন ও গলা ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেন বলে উপস্থিত ছাত্র/ছাত্রী ও অভিবাবকেরা নিউজ৩৯ কে জানান।
তবে এ ব্যাপারে মোশতাক আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন ও নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান।
বিশয়টি সবার কাছে অনভিপ্রেত; একই সাথে বিদ্যালয়ে সবার সামনে এমন ঘটনা থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা কি শিখবে? সেটাও সবার প্রশ্ন।