মোহাম্মদ আল-আমিন, নিউজ ৩৯ ♦ জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন গ্রামের প্রায় ২০ জন আহত এবং অন্যান্য একটি গ্রামের ৬ জন আহত হয়েছে। এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে ঘোষাইল বাজারে।
বালেঙ্গা গ্রামের সুমন(২৪) একজন পেশাদার মোটর সাইকেল চালক। প্রতক্ষ্যদর্শীসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে ঘোষাইল গ্রামের আজিজুল তার বোনদের নিয়ে ঘুরতে বের হলে সুমন তার মোটর সাইকেল দিয়ে তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেয়। এতে আজিজুলের বোনেরা রাস্তার পাশের ডোবায় পড়ে যায়।
এর ফলে আজিজুল ও সুমনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এতে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজুলকে মারার জন্য তার সঙ্গীদের নিয়ে সন্ধ্যায় ঘোষাইল বাজারে আসে এবং আজিজুলের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় সুমনের দলে বিভিন্ন গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ জন লোক ছিল। সুমনের দল ঘোষাইল বাজারে আসলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা আজিজুলের বন্ধু-সঙ্গীরা সুমনের দলের উপর হামলা চালায়।
এসময় দুই দলের সংঘর্ষে রাজাপুর গ্রামের ইসমাইল, নিজাম, হাসান, মানিক, বালেঙ্গা গ্রামের শামীম, তানভীর সহ ঘোষাইল, কঠুরী ও সুন্দরীপাড়া গ্রামের প্রায় ২০ জন আহত হয়। ইসমাইল তানভীরসহ গুরুতর আহত ৬ জনকে দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এসময় অন্যরা এই সংঘর্ষ ফেরাতে এলে আরো কয়েকজন আহত হন। তাদেরকেও নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স ও দোহার উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
থানায় যোগাযোগ করলে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন এ ব্যাপারে তারা এখনো কোন অভিযোগ পাননি। এ ঘটনার পর এলাকা উত্তোজনা বিরাজ করছে।