পহেলা বৈশাখ: দোহার-মুন্সিগঞ্জে জেলেরা জাটকা নিধনে বেপরোয়া

193

পদ্মা নদীতে অবাধে দিনে দুপুরে জাটকা নিধন চলছে। তাই জাটকা সংরক্ষণের সফলতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে জেলেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠায় ধরা পড়ছে ওই সমস্ত পোনা মাছ। পদ্মা তীরবর্তী হাট বাজারগুলোতে অবাধে জাটকা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

জেলেরা অভিযোগ করেছেন, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে কোনো প্রচারণা বা কর্মসূচি না থাকায় নদী জুড়ে জাটকা নিধন চলছে। 

একাধিক সূত্র জানায়, দেশে মাছের চাহিদা পূরণে সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পহেলা এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করে। কিন্তু শিবচরসহ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে কোনো অভিযান না থাকায় এসব জায়গাজুড়ে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব। 

সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর মাওয়া অংশ, চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, লৌহজং, জাজিরাসহ সর্বত্রই জাটকা ধরা হচ্ছে। মাছ ধরা জালগুলোর ফাঁসগুলো ছোট হওয়ায় ২ ইঞ্চি থেকে ১০ ইঞ্চির সকল জাটকাই ধরা পড়ছে। 

পদ্মা নদীর ভাটি (নামায়) চাদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় কোস্টগার্ডসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে জেলেরা মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ, দোহার অংশে আশ্রয় নিয়ে এ নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। 

অন্য খবর  মধুরচরে সবজি ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

স্থানীয় জেলে করিম মিয়া বলেন, “জাটকা ধরার ক্ষেত্রে মাওয়ার অংশে সোনারগাঁর একশ নৌকা বেশি বেপরোয়া। নদীর পাড়ে ডাঙ্গায় কর্মসূচি থাকলেও নদীতে অভিযান না থাকায় নির্বিচারে জাটকা ধরা পড়ছে।”

শিবচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, “এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে ৭ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অভিযানও চলছে।”

নদীতে জাটকা ধরার ব্যাপারে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব বলে আশ্বাসের কথা বললেও পদক্ষেপের কথা জানাতে পারেননি তিনি।

আপনার মতামত দিন