জনদুর্ভোগঃ মুকসুদপুরের মৌড়ার রাস্তার বেহাল দশা, সংষ্কারের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের

238
মৌড়ার রাস্তার বেহাল দশা

হালকা বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ঢাকা জেলার দোহার উপজলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মৌড়া বাজারের রাস্তা।   মুকসুদপুর ইউনিয়ন ঢাকার দোহার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় মৌড়া বাজার। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায়  হালকা বৃষ্টিতেই চরম দুর্ভোগে থাকতে হয় এই গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে এলেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে বাজারে যেতে হয় তাদের। এর মধ্যে রাস্তায় গর্ত তো আছেই। একাধিক বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়-সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এই দুর্ভোগ নিত্যদিনের । অন্যদিকে পানিবাহিত রোগে ভুগছেন স্থানীয় অনেকে।

অটো রিকশাচালকদের থেকে জানা যায়, রাস্তার এই বেহাল অবস্থা বহুদিনের। রাস্তার বেহাল দশার কারনে  আমাদের গাড়ির নানান সমস্যা দেখা দেয়।  দিনে ৫০০ টাকা উপার্জন করে ৩০০ টাকা দিতে হয় মালিক কে। অথচ কিছুদিন পর পরই  এ রাস্তায় চলাচল করার কারনে ১০০০ টাকা যায় গ্যারেজে গাড়ি ঠিক করতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৌড়া অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা ও নিচু। সামান্য বৃষ্টি হলেই তা হাঁটু পানিতে পরিণত হয়।  তলিয়ে থাকে রাস্তাগুলো। মৌড়া বাজারে আসে পাশের এলাকাতেই রয়েছে মৌড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মৌড়া নুরানী হাফেজে মাদ্রাসা ও এমদাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ৩১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি কিন্ডারগার্টেন,  অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এখানে যাতায়াতের রাস্তাগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভর্তিতে অনাগ্রহ দেখায় অনেকে।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে ঝড়ে বিপর্যস্থ বৈদ্যুতিক সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি

বাসিন্দারা অভিযোগ করে অনেকবার  মেম্বার  ও চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান মেম্বারদের থেকে সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। রাস্তা উঁচু কিংবা পয়োনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলে জলাবদ্ধতার হাত থেকে প্রতিকার মিলবে বলে জানান মৌড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

আপনার মতামত দিন