ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে বুয়েটের ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী

22
ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে বুয়েটের ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করেছেন বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বুয়েট প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, জনমত নিরীক্ষণের জন্য গত দুদিনব্যাপী আমরা আমাদের নিজ নিজ প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল ব্যবহার করে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে অনলাইনে ভোট গ্রহণ করি। যার ফলাফল হচ্ছে-বুয়েটের মোট ৫৮৩৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ৫৬৮৩ জন। অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। সুতরাং আমাদের অবস্থানের যথার্থতা এখানে প্রমাণিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের পক্ষে আন্দোলনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিভিন্ন চেষ্টা দেখা গেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দাবির বিপরীতে আমাদের বিভিন্ন রকম হেনস্থা ও প্রোপাগান্ডার শিকার হতে হচ্ছে।

তারা বলেন, আমরা জানতে পারি, ৩ এপ্রিল বুধবার বুয়েট ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অবস্থান স্পষ্টকরণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহাবস্থানের দাবিতে ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলন ডাকে। সংগঠনটি বলছে, ছাত্রদল একটি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন হিসাবে সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি চর্চায় বিশ্বাসী। ছাত্রদল বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতি ‘সংহতি’ প্রকাশ করেছে। আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা, ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে চলমান আন্দোলনের এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে ছাত্রদলের এমন বক্তব্যকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করি এবং তাদের এই ‘রাজনৈতিকভাবে মদদপুষ্ট সংহতি’কে আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করছি।

অন্য খবর  শিক্ষকরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ: সালমান এফ রহমান

আমরা আবারো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই, আমাদের অবস্থান কোনো একক ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে নয়। আমরা ছাত্র রাজনীতি-ই ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিরুদ্ধে। অতএব এটি করতে চায় এমন যে কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান সমান এবং অনড়। আমরা আরও উল্লেখ করতে চাই, হিজবুত তাহরিরের মতো নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠনের অস্তিত্বকেই আমরা সমর্থন করি না। সেখানে এরূপ নিষিদ্ধ সংগঠনের সমর্থন বা সহানুভূতি গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।

‘আমরা যে কোনো ধরনের রাজনীতির বিরুদ্ধে’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসে সব দলের ও মতের লেজুড়বৃত্তিক সাংগঠনিক রাজনীতি এবং মৌলবাদী দলসমূহের বিপক্ষে আছি এবং থাকব।

আপনার মতামত দিন