নবাবগঞ্জ-সিঙ্গাইর সীমানায় গড়ে উঠেছে চোলাই মদের বিশাল কারখানা

350

নিউজ ৩৯ ♦ নবাবগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার সীমান্তবর্তী কালীগঙ্গা নদীর ধারে নিলাম্বরপট্টি এবং রূপচর এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি দেশী চোলাই মদের কারখানা।

জানা যায়, এখানে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মণ মদ তৈরী হচ্ছে। এই মদ বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকায়। এখান থেকে মোটা অংকের মাসোহারা কোনো কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি সিঙ্গাইর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান খান হান্নান এলাকার লোকজন নিয়ে মাটি খুঁড়ে মদ ভর্তি ৫২টি ক্যান উদ্ধার করে ধ্বংস করেন। এরপর কিছুদিন মদ ব্যবসা বন্ধ থাকলেও বর্তমানে তা আবার চালু হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, এ সমস্ত মদের কারখানার মালিকরা সময়-সুযোগ বুঝে বাড়িঘরে এবং নিরাপদ স্থানে কারখানা তৈরি করে মদ বানায়। পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন এখান থেকে মদ কিনে নিয়ে যায় সিঙ্গাইর, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে। সিঙ্গাইর ও নবাবগঞ্জ থানা সবই জানে অথচ নীরব ভূমিকা পালন করছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের লোকজন এখানে এসে দেখা করেন বলে অনেকে জানান। তবে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ বলেছে, এ সমস্ত মদের কারখানা নবাবগঞ্জ থানার আওতাধীন। এখান থেকে কোন টাকা-পয়সা নিচ্ছে না সিঙ্গাইর থানা পুলিশ।

অন্য খবর  অন্তহীন অনিয়মে জড়িত দোহার পৌর প্রকৌশলী

এলাকাবাসী মনে করে এ এলাকাতে যে হারে চুরি, ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধ বেড়েছে তার উত্পত্তি এ সমস্ত মদের ঘাঁটি থেকে। অথচ প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না এদের বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রশাসন যদি মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত তাহলে এলাকায় কোন চুরি-ডাকাতি হতো না। যুব সমাজও মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেত।

তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

আপনার মতামত দিন