বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় সারাদেশের মতো প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকার দোহার উপজেলাও। ইতিমধ্যে ছয়টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসাথে পদ্মায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত জরুরী সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা’র সভাপতিত্বে দোহার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা জানান, ‘আম্ফান’ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রত্যেক ইউনিয়নে মাইকিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল নৌঘাট থেকে নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। একইসাথে পদ্ম নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে দোহার উপজেলা প্রশাসনের।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, প্রতিটি এলাকার জন্য মেডিকেল টিম, উদ্ধারকারী টিম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোবাইল টিম, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনীসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে দূর্যোগ কমিটিকে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
ওই সভা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী সাইক্লোন সেন্টার ঘোষণা করা হয়। সাইক্লোন সেন্টারগুলো হচ্ছে, নারিশা ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য মালিকান্দা স্কুল এন্ড কলেজ, নয়বাড়ি ইউনিয়নের জন্য বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, বিলাসপুর ইউনিয়নের জন্য বিলাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুকসুদপুর ইউনিয়নের জন্য পদ্মা কলেজ, দোহার পৌরসভা ও রাইপাড়া ইউনিয়নের জন্য লটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়, মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্য হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।