বাড়ছে খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা: কমে গেছে গাছ ও গাছি

698

জাকির হোসেন, নিউজ৩৯ ♦ জাকিয়ে বসেছে শীত। চারপাশের প্রকৃতি তাই নীরব ও নিথর, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। আর এই হাড় কাপানো শীতের সকালে প্রথমেই মনে আসে খেজুর গাছের রসের কথা। বুড়িগঙ্গা থেকে পদ্মা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরানীগঞ্জে আগে দেখা যেত প্রচুর খেজুর গাছ, রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, মাঠের পাশে, যত্রতত্র। কিন্তু সভ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে ইট পাথরের ইমারত যত বেড়েছে ঠিক ততই কমেছে খেজুর গাছ। গাছ কমেছে তাই কমেছে গাছি।

যার ফলে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে খেজুর গাছের সুমিষ্ট রস থেকে, আর নতুন প্রজন্মের কাছে খেজুরের রস ‘মিথ’-এ পরিণত হয়েছে। এছাড়া রস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য এখন সদূর পরহত সাধারণ মানুষের কাছে।

দোহার থানার পানকুন্ড গ্রামের আইয়ুব আলী পেশায় একজন গাছি। তার সাথে কথা বলে জানা গেল, আগে দোহার-নবাবগঞ্জে হাজার হাজার খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা কমতে কমতে একেবারে বিরল গাছের পর্যায়ে নেমে এসেছে। মানুষ বাড়ছে আর তাই মানুষের প্রয়োজনে কাটা হচ্ছে গাছ।

এখন গাছ কম থাকায় রসও কম পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে রসের গুড় উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান নিউজ৩৯কে জানান।

অন্য খবর  আগুনে দগ্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাবারক আলী বেপারীর মেয়ের মৃত্যু

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় গাছিদের উৎপাদিত খেজুরের গুড়ের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু চাহিদা থাকা সত্বেও স্থানীয় গাছিদের উৎপাদিত গুড় অনেক কম। আর তাই এই এলাকার গুড়ের চাহিদা মেটাতে মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুর থেকে আনা হচ্ছে নিম্ন মানের গুড়।

খেজুরের রস সংগ্রহ

রস সংগ্রহ করেছেন একজন গাছি

ঢাকা থেকে দোহারে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা ইমরানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি প্রতি বছর শীতে নানার বাসায় বেড়াতে আসেন শুধু মাত্র খেজুরের রসের নেশায়। রসের পাশাপাশি রসের তৈরি নানা রকম খাদ্য বস্তু ও পিঠাও তার কাছে অনেক ভালো লাগে।

আপনার মতামত দিন