ঢাকার নবাবগঞ্জের কৃষি অধ্যুষিত কৈলাইল ইউপি’র ভাংঙ্গাভিটা গ্রামটি এখন সুস্বাদু বাঙ্গি ফলের বহাট বাজারে পরিণত হয়েছে। সল্প দামে ক্রয় করা যায় বলে দেশের সকল মানুষের কাছে বাঙ্গি ফলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কম পুজিতে বেশী মুনাফা তাই স্থানীয় চাষিরা বাঙ্গির চাষ হয়ে আসছে বছরের পর বছর। সারাদেশে নবাবগঞ্জের ভাংঙ্গাভিটা গ্রামটি এখন মৌসুমী ফল বাঙ্গির জন্য বিখ্যাত অঞ্চলে পরিনত হয়েছে।
ভাংঙ্গাভিটায় উর্বর কৃষি জমি বাঙ্গির চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই জীবন জীবিকার জন্য প্রধান ফলস হিসেবে এখানে প্রায় ৬০/৭০ বছর ধরে বাঙ্গি চাষ করে অথনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক।
বছরের পর বছর ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষে প্রতিনিয়ত লড়াই-সংগ্রাম করে উৎপন্ন করছেন সোনালী ফল বাঙ্গি। এছাড়া বাঙ্গির পাশাপশি একি জমিতে লাউ, কুমড়া, বেগুন খিরাইসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করছেন তারা।
দেশে বিভিন্ন প্রজাতির বাঙ্গির দেখা মিললেও এই ভাংঙ্গাভিটা বাঙ্গির রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য । স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ভাংঙ্গাভিটা বাঙ্গি।ফলে মানুষের কাছে ভাঙ্গাভিটার বাঙ্গির চাহিদাও বেশ।
শীতকালে বাঙ্গি চাষের জন্য বীজ বপন করা হলেও গ্রীস্মকালীন ফল হিসেবে হাট-বাজার গুলোতে দেখা মিলে হলুদ বর্ণের মিষ্টি জাতীয় রসালো ফল বাঙ্গি। দাম কম কিন্তু পুষ্টিগুন বেশি থাকায় বছরের অন্তত একবার এ ফলে স্বাদ নিয়ে থাকেন সবাই।
ভাংঙ্গাভিটার বাসিন্দা দয়াময় বাড়–ই বলেন, এ বছর ভাঙাভিটা এলাকায় প্রায় ১শ’ থেকে দেড়’শ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করা হয়েছে। ফলন ভাল হয়েছে এ বছর। বেশির ভাগ বাঙ্গিচাষী কমপক্ষে ১০ বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করে থাকেন। এখানে উৎপাদিত ভাঙির হাট বসে নদীর পাড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল বেলা ১২ টা পর্যন্ত। বিভিন্ন এলাকা থেকে খুচরা ও পাইকারী বাঙ্গি কিনতে আসেন অসংখ্য মানুষ। যা দেখে কৃষকের মূখে হাসি ফুটে উঠে।
বাঙ্গিচাষী খগেন বাবু বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রিও হয় ভালো
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল আমীন বলেন, নদীর তীরবর্তি কৈলাইল ইউপি’র ভাংঙ্গাভিটা গ্রামটি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বাঙ্গি ফলের জন্য। এই এলাকার কৃষকরা খুব পরিশ্রমী যার কারনে এত ভালো ফল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।