নিউজ৩৯♦ ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহারের রাস্তার বেহাল অবস্থা। অথচ এসব দেখার যেন কেউ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে একাকার হয়ে যায় এ এলাকার রাস্তাগুলো। একে তো খানাখন্দে জরাজীর্ণ বেহাল রাস্তা, তার ওপর বৃষ্টির পানি জমে থাকা। এ যেন এক মিনি বুড়িগঙ্গা।
হাঁটুপানি আর গর্ত ডিঙিয়ে পার হতে হয় এই এলাকার যানবাহনগুলোকে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ, দোহার এলাকায় যেতে আগের তুলনায় দ্বিগুণ সময় লাগছে এ এলাকার বাসিন্দাদের। দোহার-নবাবগঞ্জ সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কেরানীগঞ্জের বন্দডাকপাড়া এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত এক বছর আগেও বন্দডাকপাড়ার দোহার-নবাবগঞ্জ সড়কটি খানাখন্দে ভরা ছিল। ২০১৩ সালে যোগাযোগমন্ত্রী কদমতলী সড়ক পরিদর্শনে এসে এ সড়কটির বেহালদশা দেখে ১৫ দিনের মধ্যে মেরামতের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এক মাসেও সড়কটির কোনো কাজ না হওয়ায় যোগাযোগমন্ত্রী আবার পরিদর্শনে এলে কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে ৭ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে। অথচ রাস্তার দুপাশ নিচু হওয়ার কারণে দুই কিলোমিটার রাস্তা হালকা বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়।
বন্দডাকপাড়ার দোহার-নবাবগঞ্জ মহাসড়কটি দিয়ে নবাবগঞ্জ-ফরিদপুর এলাকার লোকজন বাহ্রঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। বৃষ্টি হলেই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় দূরপাল্লার যাত্রীদের।রাস্তার ওপর হাঁটুপানি জমা হওয়ার কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জিনজিরা বাজার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। সময়মতো স্কুলে পৌঁছাতে না পারায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয় জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ঈদের পরপর এসব রাস্তার কাজ ধরব বলে আশা করছি।