ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাশপট্টি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে হাজী মোঃ রফিক ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
নিহতের ছেলে মোঃ আল আমিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের ফ্যাক্টরি থেকে এক কর্মচারী ফোন করে জানান,ফ্যাক্টরিতে বিদ্যুত নাই। পরে আমি ও আমার বাবা আমাদের বাসা (পূর্ববন্দ ডাকপাড়া) থেকে ফ্যাক্টরি বাঁশপট্রিতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি কয়েকজন মাদকসেবী আমাদের কারখানার সামনে ঝগড়া-ঝাটি করছে।
ঝগড়া বিবাদের কারনে আমাদের ফ্যাক্টরির বৈদ্যুতিক মিটারটা ভেঙে ফেলেছে। কেন আমাদের ফ্যাক্টরির মিটার ভাঙ্গলো এমন কথা জিজ্ঞাসা করি। এতে উল্টো তারা আমার ও আমার বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে মাদকসেবীরা বাবার পেটে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে। বাবা মাটিতে পরে যায়। আমি চিৎকার দিলে ফ্যাক্টরি থেকে কর্মচারীরা নেমে আসে। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে বাবাকে রাতেই মিটফোর্ড হাসপাতালে নেই। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার বাবাকে ঢাকা মেডিকেল স্থানান্তর করে। ঢাকা মেডিকেল থেকে অস্ত্রপাচার শেষে গতকাল মগবাজার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় গতকাল রোববার রাত ১০ তিনি মারা যান।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা দু দিন আগেই হাজী রফিক কে মারধোরের অভিযোগে তার স্বজনরা একটা মামলা দায়ের করে। গতকাল রোববার গুরুতর আহত রফিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আসামিদের ধরতে আমরা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
নিহতের ছোট ভাই হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বড় ভাইকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ এর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের অভিযুক্ত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।