দোহারে ছয় কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি উদ্ধার, ১৭ দোকান উচ্ছেদ

526
দোহারে ছয় কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি উদ্ধার

দোহার উপজেলার অন্যতম হাট-বাজার জয়পাড়া কাঠপট্টির ১৬.৫ শতাংশ সরকারি অধিগ্রহণভুক্ত জমি ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন দোহার উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি চন্দ্র।

জানা যায়, ১৯৬৭ সালে নদী সিকক্তি আইনে উপজেলার জয়পাড়া হাট-বাজারের ১৬.৫০ শতাংশ জমি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বি.এ.ডি.সি) এর নামে অধিগ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অধিগ্রহণকৃত জমিটি ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে একটি কুচক্রি মহল। জমিটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬কোটি টাকা।

১৯৬৮ সাল থেকে উপজেলার জয়পাড়া বাজারের সাড়ে ষোল শতাংশ সম্পত্তি দখলে রেখে সেখানে দোকান নির্মাণ করেছিলেন বিল্লাল ভূইয়া, মো. আকবর আলী, আব্দুল ছাত্তার, জাকির হোসেন, শিউলি আক্তার, শওকত হোসেন মিজলু, মো. সালাহউদ্দিন ও আব্দুল কুদ্দুস। তবে দখলে থাকা ব্যক্তিদের দাবি জমিটির অনুকুলে তাদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রই রয়েছে।

দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  চন্দ্র বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের যুগ্ম-পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সাক্ষরিত আবেদনের প্রেক্ষিতে, ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাে. শহিদুল ইসলামের নির্দেশে উপজেলা ভূমি অফিস ১৭/৬৭-৬৮ একটি মিসকেস মঞ্জুর করে। তার ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাে. শহিদুল ইসলামের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অধিগ্রহণকৃত জমিটি দখলমুক্ত করে কৃষি অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেওয়া।

অন্য খবর  জার্মানের বায়ার্ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি হলেন মিয়া সোহেল

এ বিষয়ে দখলদার জয়পড়া বাজারের কুদ্দুস হার্ডওয়ার ও আবুল ব্রিকের স্বত্তাধিকারীরা জানান, আমরা ১০ বছর আগে ২০ লাখ টাকা প্রতি শতাংশ দরে এই জমি ক্রয় করেছি। এখন আমাদের এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম ফিরোজ মাহমুদ জানান, ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের নির্দেশে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও অবৈধ দখলকারীদের ১ সপ্তাহ আগে মালামাল ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা স্থাপনা ও মালামাল না সরিয়ে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। পরবর্তীতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে জমিটি দখলমুক্ত করে কৃষি অধিদপ্তরকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত দিন