রাজধানী ঢাকার শহরতলী কেরাণীগঞ্জ। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখাসহ ইতিহাস ঐতিহ্যে কেরাণীগঞ্জের রয়েছে যথেষ্ঠ ডাক-নাম। কিন্তু সে তুলনায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছে এ অঞ্চলটি। বিগত সরকার গুলোর শাসনামলে উন্নয়নের নামে আই-ওয়াশ ও অপরিকল্পিত উন্নয়নই ছিল এর প্রধান কারন। তবে আমরা পরিকল্পিত কেরাণীগঞ্জ গড়তে চাই । আমরা পরিচ্ছন্ন কেরাণীগঞ্জ দেখতে চাই। কেরাণীগঞ্জ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের রুল মডেল এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৩ আসনের সাংসদ বিদ্যুৎ,জ্বালাণী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। কেরাণীগঞ্জের উন্নয়ণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নসরুল হামিদ বিপু যে মাষ্টারপ্লাণ করে কেরাণীগঞ্জকে উন্নয়নের পথেএগিয়েনিচ্ছেন এসকল পরিকল্পনা নিয়ে ম.ই.মামুন সম্পাদিত ’এগিয়ে চলছে কেরাণীগঞ্জ’ নামক পুস্তিকার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যুৎ,জ্বালাণী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন,বর্তমান সরকারের আমলে কেরাণীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ণ হয়েছে। বর্তমানেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যহত রয়েছে। তিনি বলেন শহরতলী কেরাণীগঞ্জকে আমরা পরিকল্পিত ও আধুনিক কেরাণীগঞ্জ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমরা দেশখ্যাত পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিবের পরিকল্পনায় তারই প্রতিষ্ঠিত ভিত্তি নামক কনসল্টিং ফার্মের মাধ্যমে কেরাণীগঞ্জের একটি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ণ পরিকল্পনার রূপরেখা নিয়ে এগুচ্ছি। এ লক্ষে ড্রোন দিয়ে পর্যবেক্ষনের মাধ্য চিহ্নিত করা হয়েছে উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান সমূহ। তারই আলোকে প্রসস্থ রাস্তা-ঘাট,স্কুল-কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসা ও পরিকল্পিত হাট-বাজার সম্বলিত আধুনিক কেরাণীগঞ্জ গড়ে তোলার লক্ষে পঞ্চাশ বছরের উন্নয়ণ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কেরাণীগঞ্জ। আমাদের এ লক্ষ্য পুরনের ধারাবাহিকতার কাজ ইতিমধ্যেই আমরা শুরু করতে পেরেছি। বিগত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কেরাণীগঞ্জে বেশ কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ণ হয়েছে। এরইমধ্যে কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ঢাকা-কেন্দ্রীয় কারাগার, পানগাঁও নৌকন্টেইনার পোর্টে শুরু হয়েছে পন্য ওঠানামার কাজ। তেঘরিয়ায় সমাপ্ত হয়েছে অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামের কাজ। ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৪ স্থাপনসহ বিদ্যুৎ সেক্টরে এসেছে আমুল পরিবর্তন। এছাড়া রাস্তা-ঘাট ও স্কুল-কলেজের ব্যাপক উন্নয়নসহ শিক্ষাক্ষেত্রে এসেসেছে ব্যাপক সফলতা। চলমান রয়েছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ। এগিয়ে চলছে হাইটেক পার্ক,এডুকেশন ভিলেজ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ আরো বেশ কিছু দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন মূলক কাজ। এছাড়াও কেমিক্যাল পল্লী ও মুদ্রণ শিল্প নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে কেরাণীগঞ্জে। তিনি বলেন আমাদের শুরু করা এ সকল কাজগুলো সমাপ্ত হলে কেরাণীগঞ্জ পরিনত হবে একটি আধুনিক উপশহরে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাকে তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক, কেরাণীগঞ্জ উপজেলঅ নির্বাহী অফিসার শাহে এলিদ মাইনুল আমিন, উপজেলঅ প্রকৌশলী মো.শাহজাহান আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.শাহজাহান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.নাসির উদ্দিন,জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু,আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর শাহ খুশী, কালিন্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোজাম্মেল হোসেন, তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. জজ মিয়া, কেন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইদুর রহমান ফারুক,বাস্তা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো.আশকর আলী, শাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সালাহ উদ্দিন লিটন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা যুবলীগ সভাপতি হাজী মাহমুদ আলম, আ’লীগ নেতা মীর আসাদ হোসেন টিটু, সানোয়ার হোসেন বুলবুল, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.ইয়ামিন, আগানগর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি ফরিদ আহমেদসহ উপজেলঅর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা গন এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিত বইটিতে কেরাণীগঞ্জে শিক্ষা,মেগাসিটির মাষ্টারপ্লান,নদী ও খাল উদ্ধারের মাষ্টার প্লান,শতভাগ বিদ্যুতায়ন,স্বাস্থ্যসেবা,ক্রীড়া ক্ষেত্রে কেরাণীগঞ্জ,আইনশৃঙ্খলা পরিষিÍতি,ডিজিটাল কেরাণীগঞ্জ,অবকাঠামোগত উন্নয়ণ,বর্জ্যব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত নসরুল হামিদ বিপুর যে সমস্ত মাষ্টারপ্লাণ রয়েছে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।