যৌন হয়রানীর দায়ে দোহারে ফকিরকে গনপিটুনী

558

দোহার উপজেলায় একগৃহবধুকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে গনপিটুনী খেল লম্পট ফকির আসলাম বেপারী(৪৭)।এ ঘটনায় দোহার থানা পুলিশ লম্পট ফকির আসলামসহ চারজনকে আটক করেছে।প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ কাঠমিস্ত্রির পরিবারের দাবী। ফকির আসলাম উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরকুশাইচর গ্রামের মৃত ইসমাইল বেপারীর ছেলে এবং উপজেলার কার্তিকপুর বাজারে চাউলের বড় আড়ৎদার।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে চরকুশাইচর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি শহিদুলের স্ত্রী মুক্তার ঘরে ফকির আসলাম প্রবেশ করলে গৃহকর্তা শহিদুলের মা তারাবানু বিষয়টি টের পেয়ে আর্তচিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন আসলামকে আটক করে গনপিটুনী দেয়।এতে লম্পট আসলামের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনা ফকির আসলামের লোকজন জানতে পেরে রাত্রেই কাঠমিস্ত্রি শহিদুলের বাড়িতে আসলামের চাচা লালন ছোট ভাই মোসলেমের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় কাঠমিস্ত্রি শহিদুলসহ মা তারাবানু,ভাতিজি মুন্নি,ভাই জালাল,ভাগিনা শাহজাহান আহত হন।

সংবাদ পেয়ে রাত্রেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফকির আসলামসহ তার চাচা লালন,জালাল ও শাহজাহানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে রাখেন।

অন্য খবর  মুক্তিযুদ্ধকালীন এরিয়া কমান্ডার কর্তৃক দোহার থানায় আমিই একমাত্র বৈধ কমান্ডার: রজ্জব আলী মোল্লা

কর্তব্যরত আবাসিক ডা. ইয়াহিয়া লম্পট ফকির আসলামকে ভোররাত্রেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করেন।

গৃহবধু মুক্তা জানান,লম্পট ফকির আসলামের বাড়িতে ওরশ উপলক্ষে তার স্বামীর সাথে গেলে পরিচয় ঘটে। এছাড়াও আসলাম কার্তিকপুর বাজারের বড় চাউলের ব্যবসায়ী। প্রতিবেশী হওয়াতে দীর্ঘদিন যাবৎ সে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানী করে আসছিলো। বিষয়টি আমি আমার স্বামীকে জানালে ফকির ও আমার স্বামীর সাথে ঝগড়া বাধেঁ। পরবর্তীতে সে আমার অনুপস্থিতে রাত্রে আমার বাড়িতে ঢুকলে এ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে।

কাঠমিস্ত্রির ভাতিজি মুন্নি ও মৌসুমী জানান,ফকির আসলাম প্রভাবশালী হওয়াতে সে আমাদের বাড়িতে প্রায়ই আসতো আমার চাচার অনুপস্থিতে। তাকে আমরা নিষেধ করলেও তিনি বিষয়টি আমল দিতেন না। পরবর্তীতে ঘটনাটি আমার চাচাকে জানালে তিনি ফকির আসলামকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। ফকির আসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে গেলে তার চাচা লালনকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। অথচ হাসপাতাল রেজিষ্টার অনুযায়ী লালন গুরুত্বর ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে মাহমুদপুর পুলিশ ফাড়ির এস আই নুরুল হুদা জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে রাত-২টার দিকে কাঠমিস্ত্রি শহিদুলের বাড়িতে উৎসুক জনতার সামনে থেকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় ফকির আসলাম ও তার চাচা লালনকে উদ্ধার করি। এ সময়ে কাঠমিস্ত্রি শহিদুলের বাড়ি-ঘরে হামলার তান্ডব দেখতে পাই।

অন্য খবর  জয়পাড়ায় অবৈধ ফুটপাথ উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আপনার মতামত দিন