কার্তিকপুর-জয়পাড়া সড়ক: অভিভাবকহীন দূর্গম, দুস্তর

577

মো: জাকির হোসেন: দোহার থানার প্রানকেন্দ্র বলা হয় জয়পাড়াকে, দোহার থানার বিভিন্ন প্রান্তের এবং নবাবগঞ্জের মানুষ জয়পাড়া আসেন তাদের নিত্য প্রয়োজনে। কিন্তু জয়পাড়া আসতে যে কয়েকটি রাস্তা রয়েছে তার প্রায় সবগুলোর অবস্থাই করুণ। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রাস্তাগুলোর একটি হচ্ছে কার্তিকপুর থেকে বাশতলা হয়ে জয়পাড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি। প্রতিদিন দোহার থানার পশ্চিমাঞ্চল ও নবাবগঞ্জ থানার অনুমানিক পনের হাজার মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। বৃহস্পতিবার হাটের দিন তা প্রায় পচিশ হাজারে পৌছায়।

এই রাস্তায় চলাচল করে দোহারের অন্যতম বাস সার্ভিস নগর পরিবহনের বাস সহ যমুনা ও জয়পাড়া পরিবহনের বাস চলাচল করে। তাছাড়া মোটরসাইকেল , রিক্সা , ভ্যানও চলাচল করে। রাস্তার অবস্থা খারাপ হবার জন্য যানবাহনের সকল যাত্রীকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। কার্তিকপুর থেকে জয়পাড়ার রাস্তা পরিদর্শন করে দেখা গেছে পুরো রাস্তার বেহাল অবস্থা। সারা রাস্তা জুড়েই গর্তে ভরা, রাস্তার অধিকাংশ যায়গাতে পীচ উধাও হয়ে গেছে। বৃষ্টির ঢলে রাস্তার পাশে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটে ছোটখাটো দূর্ঘটনা, রয়েছে বড় দূর্ঘটনা ও প্রানহানির আশংকা। কয়েকদিন আগেও এই রাস্তায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছে এক শিশু। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এতে মোটরসাইকেল আর শিশুটির যতটা না ভুল তার থেকে বেশি দোষ রাস্তার অবস্থার। এসব সত্বেও প্রশাসন এখানে পালন করছে নিরব ভুমিকা। এই ব্যাপারে কুসুমহাটির চোয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব দোহারীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “ এই রাস্তাটির সড়ক জনপদ বিভাগের। তাই ইউনিয়ন পরিষদের এখানে কিছু করার নেই।” ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা এই ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “ তাদের এই নিয়ে কোন উদ্দ্যোগ নেই। এই রাস্তার দায়িত্ব সম্পূর্ণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের।” তবে খুব শিঘ্রই এই রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অন্য খবর  দোহারে রঙিন বইয়ের উৎসবে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা

কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অপেক্ষায় না থেকে এ পর্যন্ত তিন থেকে চার বার দোহার থানার পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়। যে সব স্থানে গর্ত ছিল সেসব স্থানে ইট ও বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। কিন্তু এসবের ফলে হয়তো সাময়িক ভাল ফলাফল পাওয়া যায় এবং কয়েকদিন ভালো থাকার পর রাস্তার অবস্থা সেই আগের মতোই হয়ে যায়। পরিবহন মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সমিতি সহ সকল স্তরের মানুষ রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের দাবি বার বার জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কোন ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না রাস্তাটি সংস্কারের জন্য।  এই এলাকার ইউনিয়ন পারিষদগুলোর জনপ্রতিনিধিরা সড়কটিকে অন্য দপ্তারের অধীন বলে নিজেদের দ্বায়িত্ব এড়াতে পারেন না, বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টিগোচরে আনার দ্বায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদেরই।

Road

আপনার মতামত দিন