কাউন্সিল নিয়ে অন্ধকারে ছাত্রদলের প্রার্থীরা

158
ছাত্রদল

ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর পরবর্তী করণীয় নিয়ে অন্ধকারে সংগঠনটির প্রার্থীরা। ঠিক কবে নাগাদ কাউন্সিল হবে, বিএনপি থেকে এই বিষয়ে  দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতারা। তবে, চলমান মামলার বিষয় নিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা  সার্বিক প্রস্তুতি  নিচ্ছেন বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন।

ছাত্রদলের প্রার্থী ও নেতারা বলছেন, হঠাৎ কাউন্সিল বন্ধে নেতাকর্মীরা পুরোপুরি অন্ধকারে আছেন। শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপি নেতারা জরুরি বৈঠক করলেও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ছাত্রদলের বিষয়ে ছাত্রদলই সিদ্ধান্ত নেবে।’ তবে, সেক্ষেত্রে ছাত্রদলের  দৃশ্যমান কোনও বৈঠকের খবর পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মামুন খান  বলেন, ‘আমরা তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজ করবো। এখন পর্যন্ত তার কোনও নির্দেশনা পাইনি।’

গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সদ্য-বিলুপ্তি রাজিব-আকরাম কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র চতুর্থ সহকারী  জজ  ফারজানা আক্তার। একইসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকনসহ ১০ নেতাকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিতেও বলেছেন আদালত।

অন্য খবর  জিএস সেন্টু গ্রেফতার

এই প্রসঙ্গে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, আদালতের নোটিশের জবাব কীভাবে দেওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তারা। আর আইনিভাবে নোটিশের জবাব কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করছেন দলের আইন-বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। এরপর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার উঠে গেলে নতুন করে সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কাউন্সিল করা থেকে বিরত রয়েছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আদালতে যাবো। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের বিষয়টি ফয়সালা হলে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

এই প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আদালত একটি নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপির ১০ জন নেতাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট ২০০৭ সালে একটি রিট পিটিশন মামলা নিষ্পতির সময় বলেছিলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সেই সূত্র ধরে বলবো, নোটিশের বিষয়ে যথাসময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন বলেন, ‘ছাত্রদল যেহেতু বিএনপির সহযোগী সংগঠন, ফলে তাদের যে কোনও বিষয়ে বিএনপি সিদ্ধান্ত দিতে পারে। ছাত্রলীগের অনেক সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নিয়ে থাকে। এতে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন হয় বলে আমি মনে করি না।’

অন্য খবর  দোহারে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কারণেই সম্ভব হয়েছে

প্রসঙ্গত, ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ৫৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।

আপনার মতামত দিন