কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে বক্তাদের স্মৃতিচারণা

348

কবি হিসেবে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা ছিল বটে। কিন্তু বাঙালি সব থেকে বেশি ভালোবেসেছে নজরুলের গান। কাজী নজরুল ইসলামও দুই হাত ভরে গান লিখেছেন। বিচিত্র সব বিষয় ও সুর ছিল সেসব গানের। গান লিখতে সময়ও লাগত কম। সামনে হারমোনিয়াম ও পানের বাটা থাকলেই হতো। চট করে একটি গান তৈরি হয়ে যেত তাঁর হাতে। কবির জন্মবার্ষিকীর বক্তৃতায় কথাগুলো বললেন বক্তারা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় একক বক্তৃতা ‘নজরুল: চির বিদ্রোহী’। বক্তৃতা দেন মোরশেদ শফিউল হাসান।

লিখিত প্রবন্ধ থেকে মোরশেদ শফিউল হাসান বলেন, নজরুল শুধু গান লেখেনইনি, নিজের ও অন্যদের লেখা গান সুর করেছেন। নিজ হাতে অনেক গানের স্বরলিপিও করেছেন। প্রশিক্ষক হিসেবে শিল্পীদের গানও শিখিয়েছেন। আবার তাঁর তত্ত্বাবধানেই রেকর্ড হয়েছে অনেক গান। বাংলা গানে তাঁর মতো এত সুর বৈচিত্র্যের পরিচয় তাঁর আগে বা পরে আর কেউ দিতে পারেননি।

তবে সংগীতে নজরুলের অবদান অনেক। তিনি মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। নাটক ও চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখেছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের গোরা উপন্যাস অবলম্বনে গোরা চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।

অন্য খবর  ইতিহাসের এই দিনে: ১২ সেপ্টেম্বর

বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ আবদুল কাইউম। তিনি বলেন, শুধু ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি লেখার কারণে নজরুলকে বিদ্রোহী বলা হয়, তা নয়। তাঁর মূল বিদ্রোহ ছিল অসাম্য, অন্যায়, কুসংস্কার ও জাতিভেদের বিরুদ্ধে। মানুষের সামাজিক চেতনায়ও তিনি আঘাত করেছেন। মাত্র ২০ বছরের সাহিত্যিকজীবনে তিনি দুই হাতে লিখেছেন। লেখনীর যে ধারায় হাত দিয়েছেন, অনিন্দ্য সুন্দর ফুল ফুটিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লীনা তাপসী খান। তিনি গেয়ে শোনান ‘যাও মেঘদূত দিও প্রিয়ার হাতে’ ও ‘কালেমা শাহাদাতে আছে খোদার গতি’ গান দুটি। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

আপনার মতামত দিন