নবাবগঞ্জে এসআই’র বিরুদ্ধে মামলা

242

স্টাফ রিপোর্টার, নিউজ ৩৯♦ নবাবগঞ্জের সোনাপুর এলাকার গৃহবধূ রোকসানা আক্তারকে ‘হত্যা’র ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ হিসাবে প্রভাবিত করার অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানার এক এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহত গৃহবধূর ভাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩রা সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার সোনাপুর এলাকায় স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয় গৃহবধূ রোকসানা আক্তারের (৩৫)। প্রায় ১০ বছর আগে শোল্লা এলাকার মইজউদ্দিন বেপারির ছেলে শাহজাহানের সঙ্গে আজিমউদ্দিনের মেয়ে রোকসানা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা রোকসানাকে নির্যাতন করত বলে জানান প্রতিবেশীরা। কালক্রমে রোকসানা একে একে তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়ার কারণে পরিবারের সদস্যরা তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ।

রোকসানার ৭ বছরের মেয়ে সানজিদা জানায়, তার সামনে তার মা’কে মারধরের পর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে তার পিতা শাহজাহান। সে সময় শাহজাহানের পরিবারের সবাই সেখানে উপস্থিত ছিল। রোকসানার ভাই মো. হাসান অভিযোগ করেন, “বোনজামাই ও পরিবারের সকলে মিলে পরিকল্পিতভাবে তার বোনকে অমানুষিকভাবে নির্যাতনের পর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এ কারণে ঘটনার পরপরই হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে গরীবের ইফতার

কিন্তু এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসাবে আখ্যায়িত করে অপমৃত্যুর মামলা করে এবং আমাদেরকে বলেন, তোমার বোন জামাইয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে দেই, কোন ঝামেলা করার দরকার নেই।“

হাসান আরও অভিযোগ করে বলেন, “বোনের হত্যাকারীদের কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের কারণে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ময়না তদন্তের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন। এ কারেণ আমারা থানায় হত্যা মামলা দিতে না পেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ নবাবগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও রোকসানার স্বামীসহ নয় জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করি। মামলাটি দায়েরের পর থেকে পুলিশ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।“

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার নামে মামলার বিষয়ে কিছু জানি না। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটি নিছক আত্মহত্যা। এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের প্রশ্নই আসে না। ঘটনার পর থেকেই রোকসানার স্বামী শাহজাহান ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

আপনার মতামত দিন