প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৬-১৭) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা। আসছে অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়ছে ২২০ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেছেন এই বাজেট থেকেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শুরু হবে। স্থান হিসাবে আগের সেই দোহার, মুন্সিগঞ্জ অথবা মাদারীপুর চিহ্নিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন এবং সকল বিমানবন্দরের সেফটি ও সিকিউরিট ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
মাদারীপুর, ঢাকার দোহার অথবা মুন্সিগঞ্জে ‘বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে প্রস্তাবিত ৫৪৯ কোটি টাকার মধ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৬ সালকে সরকার ‘পর্যটনবর্ষ’ ঘোষণা করলেও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে চলতি বছরে তেমন কোনো অর্থ পায়নি পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।