ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কুমারবাড়িল্যা এলাকায় ইছামতীর তীরসহ নদীর অংশবিশেষ দখল করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মার্কেট নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে প্রশাসন মার্কেট নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করেই কাজ চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমারবাড়িল্যা মৌজার কুমারবাড়িল্যা-দাউদপুর বাজার সেতুর দক্ষিণ পারে ইছামতীর তীর এবং নদী ও কুমারবাড়িল্যা খালের অংশ দখল করা হয়েছে। তাতে বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করছেন স্থানীয় মো. শাহজাহান ওরফে সারু নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা সালাহউদ্দিন বলেন, এভাবে নদীর তীর দখল হতে থাকলে একসময় পুরো ইছামতীই দখলদারের পেটে চলে যাবে। তাই এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ওই স্থানে ভবন নির্মাণ করা হলে একদিকে নদী দখল হবে, অন্যদিকে খালের স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হবে। এভাবে খালটি বন্ধ হলে দখল আর দূষণে জর্জরিত হবে গোটা এলাকা। তাঁরা এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের কুমারবাড়িল্যা-দাউদপুর সেতু ঘেঁষে ইছামতী নদী ও খালের অংশে গাইডওয়াল নির্মাণ করে তাতে মাটি ভরাট করা হয়েছে। এখন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। বহুতল ভবনের নিচতলার কাজ শেষে দ্বিতীয় তলার স্তম্ভ (কলাম) নির্মাণের কাজ চলছে।
দাউদপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শাহজাহান খুব ভয়ংকর লোক। ভয়ে এলাকার মানুষ তাঁর এসব জবরদখলের বিষয়ে মুখ খুলছে না। তিনি সব সময়ই দলবল নিয়ে চলাফেরা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
উপজেলা প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এভাবে সেতুর পাশে স্থাপনা নির্মিত হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সেতুর বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মো. শাহজাহান ওরফে সারু বলেন, এটি তাঁর কেনা সম্পত্তি। আর তাঁর বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখা হলে তিনি দেখে নেবেন বলে হুমকি দিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থলে সার্ভেয়ার (জরিপকারী) পাঠানো হয়েছে। কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এর পরও নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইছামতীর তীর দখল করে মার্কেট নির্মাণ
আপনার মতামত দিন