নবাবগঞ্জ উপজেলার দেওতলা ইছামতি নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণিল নৌকাবাইচ। বাইচে ৯টি ঘাসি নৌকা, জলকর ও বেশ কয়েকটি কোষা নৌকা অংশগ্রহণ করে। মনোমুগ্ধকর এই বাইচে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান।
ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলার হাজারও বছরের ঐতিহ্য আজ বিলীনের পথে। মানুষ আজ সুখের আশায় শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে কালের পরিক্রমায় গ্রামবাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য বিলীনের পথে। যেমন করেই হোক আমাদের পূর্ব-পুরুষদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হবে।
দেওতলা নবারুণ সংঘসহ চারটি ক্লাব আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় মাহাবুবুর রহমান বলেন, শুধু নৌকাবাইচ নয়, সমাজের নানামুখী উন্নয়নসহ বাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে, যেকোনো ভালো কাজে ঢাকা জেলা পরিষদ সর্বদা আয়োজকদের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে।
চেয়ারম্যান বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছি এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার। আমি আমার মেধা দিয়ে জেলা পরিষদকে ঢেলে সাজাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারের যথাযথ সম্মান রাখতে সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আগে ঢাকা জেলা পরিষদ ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু আমি এই পরিষদকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করছি।
বিকাল ৪টায় এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শেষ হয়। নবাবগঞ্জ, দোহার, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে আসা মোট ১২টি নৌকা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় নাফিজ-নাঈম এন্টারপ্রাইজকে হারিয়ে খানবাড়ি চ্যাম্পিয়ন হয়।
মাসুদ মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কামাল হোসেন, নায়লা প্রোপার্টিজ প্রা. লিমিটেডের চেয়ারম্যান লাকি আহমেদ, কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার সরকার প্রমুখ ।