মামুন ইসলাম / সোহেল বাবু, নিউজ৩৯ ♦ ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা বিএনপি নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আশফাকের শাস্তি দাবী করে বিক্ষোভ ও জুতা- ঝাড়ু মিছিল করেছে। এছাড়াও দোহার উপজেলার সামনে রতন স্বাধীনতা ভাস্কর্যে আবু আশফাকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে উপজেলা বিএনপির আ. মান্নান সমর্থিত গ্রুপের ছাত্রদল যুবদল।
এ মিছিলে উপস্থিত ছিল আ. মান্নান সমর্থিত প্রায় ৩৫/৪০ জন যুব ও ছাত্র নেতা-কর্মী। মিছিলটি জয়পাড়া কলেজ থেকে বের হয়ে জয়পাড়া পূর্ব বাজার প্রদক্ষিণ করে রতন সস্বাধীনতা ভাস্কর্যে শেষ হয়।
এ সময় বক্তারা আবু আশফাককে ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্ল্যেখ করে তাকে বহিস্কারের দাবী জানান।
রোববার দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক গ্রুপের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নবাবগঞ্জ বিএনপি’র নব গঠিত কমিটি বাতিলের দাবীতে মিছিল করে। এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এর প্রতিবাদে দোহার উপজেলা বিএনপির আ. মান্নান সমর্থিত গ্রুপের ছাত্রদল যুবদল আবু আশফাকের শাস্তি ও বহিস্কারাদেশ দাবী করে বিক্ষোভ ও জুতা- ঝাড়ু মিছিল করেছে।
এ ব্যাপারে আবু আশফাক রাজশাহীতে খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী থাকা অবস্থায় নিউজ৩৯-কে মোবাইলে বলেন, “আমি দোহার নবাবগঞ্জে বিএনপি’র বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। প্রতি আন্দোলন ও সংগ্রামে কে রাজপথে থেকেছে জনগণ তা দেখেছে। যে কমিটির বৈধতা নেই সে কমিটির কোন এখতিয়ারও নেই নতুন কোন কমিটি গঠনের। আর ১০/১৫ জন অল্প বয়সী নতুন মুখ কি করলো আমার নিকট সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। দল জানে আমি দলের জন্য কি করি।”
এ ব্যাপারে বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ নিউজ৩৯ কে বলেন, “দলের সাথে, দলের সিদ্ধান্তের সাথে যারা বিরোধীতা করে তারা কীভাবে দলকে ভালবাসতে পারে? আবু আশফাক যত বড়ই নেতা হোন তিনি সরাসরি দলের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে শৃঙ্খলা ভংগ করেছেন। আর দোহার নবাবগঞ্জের অনেক নেতাই যারা নিজেকে বড় মনে করে দলের বাইরে গেছেন হয় তারা হারিয়ে গেছেন কালের স্রোতে নতুবা তারা আবার ক্ষমা চেয়ে ফিরে এসেছেন। আশা করছি, তার শুভ বুদ্ধির উদোয় হবে।”
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।