আমার স্বপ্ন দারিদ্র্যমুক্ত আধুনিক দোহার-নবাবগঞ্জ: সালমা ইসলাম এমপি

37
আমার স্বপ্ন দারিদ্র্যমুক্ত আধুনিক দোহার-নবাবগঞ্জ: সালমা ইসলাম এমপি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, আমার নিজের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার স্বপ্ন দোহার-নবাবগঞ্জকে দারিদ্র্যমুক্ত একটি আধুনিক অঞ্চলে রূপান্তর করা। একজন জনপ্রতিনিধির সদিচ্ছায় তা সম্ভব; যদি আপনারা আমার পাশে থাকেন।

শুক্রবার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের কুমার বারিল্লা এলাকায় আতাহার মেম্বারের বাড়িতে লাঙ্গল প্রতীকের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় ও গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন।

সালমা ইসলাম বলেন, বিগত সময়ে আমি আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছি। আমি আপনাদের ভোটে আবারও নির্বাচিত হলে আপনাদের দাবি মোতাবেক সব উন্নয়নকাজ পর্যায়ক্রমে সমাপ্ত করব ইনশাআল্লাহ।

জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম— দোহার- নবাবগঞ্জকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছিলাম। আমার কথায় তিনি পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। ভাঙনরোধে এখনো কাজ চলমান রয়েছে দোহারে। অবহেলিত এই অঞ্চলের উন্নয়নে নিজের অর্থ খরচ করে কাজ করেছি। আপনাদের যে কোনো উন্নয়নকাজে পাশে পাবেন।

সালমা ইসলাম বলেন, কোনো মার্কা নয়, নবাবগঞ্জবাসীর উন্নয়নের কথা বিবেচনা করুন। সমাজচেতনা ও রাজনৈতিক সংহতির তীব্র অভাব, সীমাহীন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ভয় আমাদের ভবিষ্যৎকে ধোঁয়াশা করে তুলেছে। স্বজনপ্রীতি, আত্মীয়করণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার ভয়ে আমাদের আবেগ-অনুভূতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয়নি। তাই এখন সুযোগ এসেছে দিনবদলের। নবাবগঞ্জের উন্নয়নের সিদ্ধান্তে আসুন একসঙ্গে কাজ করি।

অন্য খবর  সাধ্যের সবটুকু দিয়ে দোহার-নবাবগঞ্জকে সাজাতে চাই: সালমান এফ রহমান

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, কোনো নির্দিষ্ট এলাকা নয়, দোহার ও নবাবগঞ্জের প্রতিটি মানুষ যেন সমান সুযোগ ভোগ করতে পারে। সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। সেই সুযোগ গ্রহণ করুন। তা না হলে আবারও পিছিয়ে পড়বেন। আপনারা জানেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম আপনাদের সব সময় পাশে ছিলেন। আমার পরিবারের কোনো লোকজনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এই অঞ্চলের কোনো মানুষ। আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম; থাকব। যখন প্রয়োজন হবে আমি আপনাদের পাশে থাকব। ভয় পাবেন  না, আতঙ্কের সৃষ্টি করলে একসঙ্গে প্রতিবাদ করবেন; জয় অনিবার্য।

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এ সময় বলেন, আপনাদের বলতে চাই— শিল্পায়ন ছাড়া কোনো জাতি ও এলাকার দ্রুত উন্নয়ন হয়নি।  দোহার ও নবাবগঞ্জে তেমন কোনো শিল্প-কারখানা নেই বললেই চলে। আপনারা আমার পাশে থাকলে আগামী দিনে দোহার-নবাবগঞ্জে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়তে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষ প্রবাসে নয়; দেশেই চাকরি করতে পারবে। দূর হবে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা। গ্যাসলাইন স্থাপনে অগ্রাধিকার পাবে নবাবগঞ্জবাসী। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।

অন্য খবর  নবগঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটিকে সংবর্ধনা

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দলীয়মুক্ত করে গুণীজনদের নিয়ে কাজ করব। নারীদের ক্ষমতায়নে সরকারি সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি আমি নিজেও সহায়তা করব তাদের জন্য। সেতু, সড়ক, কালভার্ট ও গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য আমি আপনাদের কাছে এসেছি লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে। প্রিয় নবাবগঞ্জবাসী, আমি আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে বারবার  ছুটে আসি। একবার ভাবুন, যারা বিগত সময়ে মন্ত্রী, এমপি হয়েছেন, তারা কতটুকু সময় দিয়েছে এই নবাবগঞ্জের উন্নয়নে। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন; লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জুয়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান হোসেনসহ মহিলা পার্টি, যুবসংহতি, ছাত্রসমাজ, কৃষক পার্টির  জেলা-উপজেলা  ও বারুয়াখলী  ইউনিয়নের বিভিন্ন  পর্যাযের নেতৃবৃন্দ।

 

আপনার মতামত দিন