রুদ্র গোমেজ ও মো. তাইয়িমা,নিউজ৩৯ ♦ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ও কমিটি গঠন অগণতান্ত্রিক দাবি করে বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল এবং আ. মান্নান ও আমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে উপজেলা বিএনপির আশফাক সমর্থিত গ্রুপ।
রোববার দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক গ্রুপের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এ মিছিল করে। মিছিলটি উপজেলা সদর বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ে ফিরে এসে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের সামনে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। পরে তারা কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করেন।
এসময় নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা জেলা বিএনপির কমিটির সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করে কমিটি বাতিলের দাবি জানান। গত সপ্তাহে জানা যায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আবেদ হোসেন কে সভাপতি ও হারুন-উর-রশিদকে সাধারণ সম্পাদক করে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে একক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি আ. মান্নান অনেক ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাকে বাদ দিয়ে এই কমিটি গঠন করেছেন।
এ ব্যাপারে আবু আশফাক নিউজ৩৯ কে জানান, “যে কমিটির বৈধতা নেই সে কমিটির কোন এখতিয়ারও নেই নতুন কোন কমিটি গঠনের। আর দলকে বিভক্তির চেষ্টার এই প্রতিবাদে রোববার সকালে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মি ও জনগণ এক প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।”
বিএনপি’র প্রবীণ নেতা ইফতেখার আল ফারুকী বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে কোনো কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ খান বলেন, বর্তমান ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কমিটি অনুমোদন দেয়ার কোন বৈধতা নেই এবং উপজেলা কমিটি উপজেলায় হতে হবে ধানমন্ডির বাসায় কেন কমিটি হবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আশফাক গ্রুপের উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ইফতেখার আল ফারুকী, সহসভাপতি আবদুল ওয়াহিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খান, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম খন্দকার, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক পবন মাহমুদ, ছাত্রদল সভাপিত রাকিবুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল, কলেজ শাখার সভাপতি আব্দুল আওয়াল, সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান, মহিলা দলের সভাপতি বিলকিছ চৌধুরী প্রমুখ।