বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অভাব হচ্ছে সময়ের। কারণ নাগরিক এই ব্যস্ততায় মেলে না দু’দণ্ড অবসর। কেনাকাটার কাজ তাই অনলাইনেই সারতে চান অনেকে। বিশেষ করে দোকানে গিয়ে পোশাক কেনার ঝামেলায় না গিয়ে অনলাইনেই অর্ডার করে দেন। আর সেই পোশাক কেনার পর অনেক সময়েই হতাশ হতে হয়! হয়তো ডিজাইনটা ছবিতে দেখতে যেমন লাগছিল, সামনাসামনি ঠিক তেমনটা দেখাচ্ছে না, অথবা মেটিরিয়ালটা ঠিক মনের মতো হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মোটামুটি সবাইকেই পড়তে হয়। জেনে নিন এসব এড়িয়ে কিভাবে অনলাইনে পছন্দের পোশাকটি কিনতে পারবেন-
হুট করে অনলাইনে কোনো পোশাক কিনবেন না, বিশেষ করে নতুন কোনো স্টাইল ট্রাই করার আগে ভালো করে রিসার্চ করে নিন। কাস্টমার রিভিউ দেখুন, বিশদে প্রডাক্ট ডিটেলস ও স্টাইলটি সম্পর্কে পড়ুন। প্রয়োজনে নিজের শরীরের মাপ নিয়ে তারপর অর্ডার দিন।
আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট যে দামে বিক্রি করছে সেটাই সর্বনিম্ন কিনা যাচাই করে নিন। আরও কয়েকটি সাইট ঘেঁটে দেখুন অন্য কোথাও ভালো ডিল বা শিপিং চার্জে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে কিনা।
বেশিরভাগ ওয়েবসাইটেই কিছু কিছু নির্বাচিত পোশাকের উপর বাড়তি ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে। সেটা খতিয়ে দেখে তবেই অর্ডার দিন।অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকলে সেলের নোটিফিকেশনও আসতে থাকে। প্রথমবার কোনো ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করলেও ভালো ছাড় পাওয়া যায় এবং সাধারণত একটি কুপন দেওয়া হয়। এগুলো হাতছাড়া করবেন না।
পোশাক বদলাতে হোক বা না হোক, ওয়েবসাইটের রিটার্ন আর এক্সচেঞ্জ পলিসি সম্পর্কে বিশদ জানা থাকলে পরবর্তীতে আপনারই সুবিধা হবে।
কোনো সমস্যা হলে যাতে ক্রেতারা যোগাযোগ করতে পারেন, সেই কারণে একটি ফোন নম্বর ও ঠিকানা থাকা উচিত প্রতিটি ওয়েবসাইটে। যেখান থেকে আপনি কেনাকাটা করছেন, সেখানে তা আছে তো? না থাকলে কিন্তু নকল জিনিসও ডেলিভারি পেতে পারেন। তাই সতর্ক থাকুন।