৯ বছর ভাঙ্গা ভাঙ্গাপাড়ায় সেতু

300

প্রায় ৯ বছর ধরেই ভাঙ্গা ভাঙ্গাপাড়া সেতু। ৯ বছর ধরে সেতুটি বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে তবে সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামেই অবস্থিত।

জানা যায়, বারুয়াখালী ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছত্রপুর, করপাড়া, ভাঙ্গাপাড়া, দীর্ঘগ্রাম, জৈনতপুর, ঘোষাইলসহ প্রায় ১০টি গ্রামের লোকজনকে এই সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সেই হিসেবে প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে কয়েক হাজার লোক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপার হতে হচ্ছে। ইজিবাইক, ভ্যান ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন এই ভাঙা সেতু দিয়েই চলাচল করতে হয়। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়ে অসুস্থ মানুষজন। কারন ভাঙ্গাপাড়া সেতুর পাশাপাশি এর রাস্তার অবস্থা ও খুব খারাপ। সেতুর দু’পাশে রেলিং না থাকার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০২ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের মাত্র ৬ বছরের মাথায় সেতুর দুপাশের রেলিং ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ সেতুটি নির্মাণের সময় নিম্মমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিলো য়ার ফলে অল্প দিনেই রেলিং ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এর সংস্কার করা হয়নি। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা এর সংস্কারের আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর তা কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হলেও জনপ্রতিনিধিরা নির্বাক।

অন্য খবর  ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে শিকারিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হাতে সরকারি কর্মকর্তা প্রহত

করপাড়ার ব্যবসায়ী আতিকুর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এত টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করা হলো আর ব্যবহার করা হলো দুই নম্বর ইট-বালু। অতি দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার না করলে যদি এটা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় তাহলে স্থানীয়রা খুব সমস্যায় পড়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া জানান, কয়েকমাস আগে মারুফ নামের ৪ বছরের এক শিশু সেতু থেকে পড়ে আহত হয়। কিছুদিন পর পরই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। তিনি আরো জানান, সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, বাইসাইকেল চলাচল করে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বারুয়াখালী স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নুসরাত জাহান নাফিসা বলেন, আমাদেরকে প্রতিদিন এই ভাঙা সেতু দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। দু’পাশে রেলিং না থাকায় মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। সেতুটি পাড় হওয়ার সময় আমাদের খুব আতঙ্কে থাকতে হয়। তাই বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই সেতু সংস্কার করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ সিকদার বলেন, এই পাকা সেতুটি ছাড়াও আমার বারুয়াখালী ইউনিয়নের বেশ কিছু কাজ একনেকে বাজেটে জমা রয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে বৃদ্ধাকে অজ্ঞান করে হাসপাতাল থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, সেতুটি দিয়ে প্রতিনিয়ত নছিমন, রিকসাসহ বিভিন্ন বড় যানবাহন চলাচল করে রেলিংগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তাছাড়াও সেতুটি বাতিল হয়ে গেছে তবে ঐ স্থানে খুব শীঘ্রই নতুন সেতু তৈরি করা হবে।

আপনার মতামত দিন