স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দোহার উপজেলা বিএনপি’র পাল্টা-পাল্টি মিছিলকে কেন্দ্রে করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দোহার উপজেলা বিএনপি’র সাংগাঠনিক সম্পাদক ডালু খন্দকারসহ প্রায় ৮ জন।
সকাল ১০টার দিকে জয়পাড়া থানার মোড়ে ডালু খন্দকারের নেতৃত্তে একটি মিছিল উপজেলা গেটের সামনে আসলে বিপরীত দিক হতে কলেজ চৌরাস্তার মোড়ে যুবদল সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারীর নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল আসে। তখন বিপরীত দিক হতে আসা মিছিল থেকে ডালু খন্দকারের উপর আক্রমণ করা হয় বলে নেতা-কর্মিরা জানান। এসময় দলীয় নেতা-কর্মিরা তাকে কেন্দ্র করে মানবঢাল তৈরি করে। তবে এতে ডালু খন্দকারসহ প্রায় ৭/৮ জন আহত হয়।
পরবর্তীতে বেলা ১১ টায় আংশিক সংবাদ সম্মেলন করে ডালু খন্দকার এ ঘটনার জন্য কামরুল হুদার নেতৃত্বাধীন অংশকে দায়ী করেন। নিউজ৩৯ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে নাম না প্রকাশ শর্তে জানতে পারেন যে, মূলত ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি আঃ মান্নানের সাথে জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন মোল্লার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও ইদানিং ডালু খন্দকারের সাথে বেশী সখ্যতা গড়ে ওঠে। একই সাথে দোহার উপজেলা যুবদল কমিটি গঠন নিয়ে দোহার উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি উমায়ুন ইসলাম খালেদের কমিটির সাথে জুলহাস ব্যাপারীর কমিটির অন্তর্কোন্দ্বলে জড়িয়ে পড়েন ডালু খন্দকার তথা আঃ মান্নান অনুমোদিত দোহার উপজেলা বিএনপি; যার সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সেক্রেটারী আলমগীর ব্যাপারী ও সাংগাঠনিক সম্পাদক ডালু খন্দকার। অপরপক্ষে রয়েছে নাজমুল হুদা ও কামরুল হুদার অনুসারীরা।
একই রকম কোন্দ্বল বিরাজ করছে আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের সাথে কবির শেখের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের। মূলত এসব ঘটনা থেকেই আজকের এই সংঘর্ষ বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ডালু খন্দকারের বাড়ীতে তার প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে তিনি দেখা করেননি। পরবর্তীতে তার মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
এদিকে দোহার উপজেলা বিএনপি সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ নিউজ৩৯কে জানান,মূলত দলীয় পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘাত সংগঠিত হয়েছে। বিএনপি’র মতো বড় দলে এটি এক ধরনের নেত্রিত্বের প্রতিযোগিতা কিন্তু তেমন কোনো সমস্যা নয় বলে তিনি আমাদেরকে জানান।