দোহার নবাবগঞ্জে সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য ধরা ছোঁয়ার বাইরে

314

ঢাকার দক্ষিণ তথা দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে মাত্রারিক্ত হারে বেড়েছে সিলিন্ডার গ্যাসের দাম। কিন্তু এই হটাৎ করে প্রতি সিলিন্ডারে গ্যাসের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও ডিলাররা এর দায় চাপাচ্ছেন সরাসরি সরকার ও কোম্পানির উপর। এই দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্ব- গতির বাজারে বিষয়টি মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।

আর এতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে জ্বালানি ব্যবহারে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে। ঢাকা মহানরীতে বাসায় পাইপলাইনে গ্যাসের জন্য একজন গ্রাহককে যেখানে মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪০০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে, সেখানে এলপিজি ব্যবহার করতে প্রতি সিলিন্ডারে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৭০০ টাকা।

দোহারে এলপিজির ডিলার নাজির আহমেদ বলেন, সরকারী কোম্পানি যুমনাসহ কয়েকটি বেসরকারী কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডার (সাড়ে ১২ কেজি) বিক্রি করা হচ্ছে ১৫৮০ থেকে ১৭০০ টাকায়।

নবাবগঞ্জেও বেসরকারী কোম্পানিগুলোর সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা দরে। আর সরকারী কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার ৭০০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও তা কিনতে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা লাগছে বলে জানান একটি বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম।

অন্য খবর  দোহারের আজিজুর রহমান ঢাকা ট্যাকসেস্ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি

দাম বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে যমুনার ডিলার বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৭০০ টাকায় সিলিন্ডার পাওয়ার কথা থাকলেও আমাদের কিনতে হয় সাড়ে ১২০০ টাকায়। আমরা সাড়ে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি করছি।’ অতিরিক্ত দামের কারণ হিসেবে বেশি চাহিদা অনুযায়ী সিলিন্ডার না পাওয়ার কথাও বলেন ।

তিনি দাবি করেন, একজন ডিলার প্রতি মাসে ১০০ থেকে ১৫০ টির বেশি সিলিন্ডার পান না। একই ধরনের কথা বলেন যমুনার ডিলার । তাঁর দাবি, তিনি প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ২০০ টি সিলিন্ডার পান। ‘আমাদের সিলিন্ডার নিতে প্রায় ১০০০ থেকে ১২৫০ টাকা লাগে। কোম্পানি থেকে আমাদের বলা হয়েছে এক শ’ থেকে দেড় শ’ টাকা লাভ করা যাবে।’

আপনার মতামত দিন