শৈত্য প্রবাহের চাদরে ঢেকে আছে দোহার-নবাবগঞ্জ। শৈত্য প্রবাহের মাত্রা বেশি হওয়ায় যেন কাপছে দোহার – নবাবগঞ্জের মানুষ। নভেম্বরের শুরুতে কম শীত থাকলেও এখন জানুয়ারিতে এসে শীত ও প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা যায়। এমন শৈত্য প্রবাহের জন্য মানুষের ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হয়ে যায়। সবচেয়ে কষ্টে আছে দোহার – নবাবগঞ্জ এর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শ্রমজীবী মানুষ। দিন আনতে কস্ট হয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কানাডায় বাংলাদেশী আবহাওয়াবীদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বুধবার পর্যন্ত দোহার – নবাবগঞ্জ এর উপর শৈত্য প্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার প্রভাব থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তা কমে আসবে।
দোহারের জয়পাড়া বাজারের নিয়মিত রিক্সাচালক মনির হোসেন (৩২) বলেন, শীতে হাত পা বরফ হইয়া যাইতাছে। কি করুম? রিক্সাতো চালাইতে হইবো। আজ ২ টা পর্যন্ত সারা দিনে মাত্র ২০০ টাকা আয় করতে পারছি। শীতের কারণে মানুষ রিক্সায়ও তেমন উঠতে চায় না। তারমধ্যে আবার সপ্তাহে রিক্সার কিস্তি দিতে হয়।
এই শৈত্য প্রবাহে দোহার – নবাবগঞ্জে কমে গিয়েছে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা। বাজারে বেচা-বিক্রি বেড়েছে গরম পোশাকের। শৈত্য প্রবাহে রাস্তায় সকল জীবিকার পেশাজীবী মানুষেরা বের হয়েছে একটু রয়ে সয়ে। তবুও থেকে নেই রুটি রুযির সংস্থান। সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। এদিকে সকলের আতংক রাতে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। জীবিকা নির্বাহ করার জন্য ছবিতে দুপুর ১:৩০ মিনিটে তোলা।
নবাবগঞ্জ চৌরাস্তার রিক্সা চালক সিরাজ (৫২) বলেন, এই শীতের মধ্যে রিকশা চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে তবুও কি করার সংসারের খরচ চালাতে রাস্তায় বের হতে হয়। গরমের দিনে সকাল ছয়টা বাজে বের হয়ে যাইতাম রিক্সা নিয়া এখন শীতের এই সময় রোদ নাই। গরমে এই বেলা ২টা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আয় করা হইয়া যাইতো কিন্তুু এখন প্রচুর শীত পড়ার কারণে ১৫০ টাকা কামাইতে পারছি এই বেলা।