শিশুদের ‘সারপ্রাইজ গিফট’ নিজ হাতে তুলে দিলেন সালমান এফ রহমান

83

রাজধানীতে চলছে ‘লাল সবুজের মহোৎসব-২০২১’। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে শিশুদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে গান গেয়ে উপস্থিত অতিথি ও শিশুদের মন জয় করেন এসআই টুটুল। অনুষ্ঠানটি চলে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই শিশুদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিথিবৃন্দু।
এসময় শিশুদের ‘সারপ্রাইজ গিফট’ দিয়ে তাদের চমকে দেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আর নেচে- গেয়ে শিশুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আগত শিশুরা হঠাৎ ‘সারপ্রাইজ’ হিসেবে ব্যাগ ভর্তি নানা রঙের উপহার পেয়ে খুশিতে ফেটে পড়ে। শিশুদের হাতে উপহার তুলে দেন সালমান এফ রহমান নিজেই।

এর আগে শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় নৃত্য, গানে মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় উদযাপিত হয় সন্ধ্যাটি। পরিবেশনার পাশাপাশি দর্শক-শ্রোতাও ছিলো শিশুরাই। আর এভাবেই বর্ণিল রূপ পেল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে হাতিরঝিলের অ্যামফিথিয়েটারে চলমান ‘বিজয়ের ৫০ বছর : লাল সবুজের মহোৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।

এতে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমবেত শিশুরা অংশ নেয়। বাংলার ষড়ঋতুসহ দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন গেণ্ডারিয়া কিশালয় কচিকাঁচার মেলার শত শিশু শিল্পী।

অন্য খবর  কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা, বাড়তি দামে ক্রেতার নাভিশ্বাস

নেপথ্যে উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা অধ্যায়। পরের পরিবেশনার শিরোনাম ছিল ‘গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত’।

এই গানের সুরে নৃত্যশিল্পীরা ফুল, পাখির সঙ্গে ছাতা মেলে নাচ করে। এভাবেই পুরো আয়োজনটি এগিয়ে চলে নৃত্য-গীতের সম্মিলনে। ষড়ঋতু নির্ভর পরিবেশনার মাঝে বয়ে যায় মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়। মনোমুগ্ধকর নাচের সঙ্গে ব্যাকড্রপ স্ক্রিনের আকাশে ভেসে বেড়ায় শরতের নীলাকাশ। দুলতে থাকে শ্বেতশুভ্র কাশফুল।

এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

দর্শক সারিতে উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, তোমরা আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি গান শিখবে, কবিতা আবৃত্তি করবে, বিতর্ক করবে। তোমদেরকে আনন্দ নিয়ে পড়াশোনার করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই বক্তব্যে শিশু-কিশোররা করতালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

অন্য খবর  অক্টোবরে তফসিল, ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন: সিইসি

সালমান এফ রহমান বলেন, বিজয়ের ৫০ বছর আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ববহ। কারণ, এই দেশ স্বাধীন না হলে আজ আমরা কেউ প্রতিষ্ঠিত হতে পারতাম না। ব্যবসায়ী কিংবা অন্য কোনো পরিচয়ও আমাদের হতো না। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে এইসময়টি আর আসবে না। সে কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই বিজয়ের মাসের শুরু থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত আমাদের এই বিজয় উদযাপন করবো।

আপনার মতামত দিন