১০৩ বছর বয়সের বৃদ্ধা হেলেনা বেগম। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতার মধ্যে কোনোটাই জোটেনি তার ভাগ্যে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকার আমার বয়স আর কত হলে আমাকে ভাতা দেবে। আশপাশে আমার ছেলের চেয়েও কম বয়সী লোকেরা ভাতা পায়। কিন্তু আমি কিছুই পাই না। একথাগুলো বলছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দ পুর এলাকার শত বছর বয়সী বৃদ্ধা হেলেনা বেগম যার জন্ম ১৯১২ সালের অক্টোবর মাসে।
খাতা কলমের হিসাবে একশত বছরের উপরে এ বৃদ্ধার বয়স।হেলেনা বেগম জানান, ২০ বছর আগে স্বামী আলাউদ্দিন মোল্লা মারা যায়। তার ১ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ অভাবের সংসার। একমাত্র ছেলে মো. বাচ্চু মোল্লা (৫০) দিনমজুর। তার চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসারই চলে না। তাই হেলেনা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনো রকমে জীবন যাপন করেন।
তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান বয়সের ভারে আমার হাঁটতে চলতে কষ্ট হয়। তারপরেও এক মুঠো খাবারের জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয়। আগের সরকারের আমলে বেশ কয়েকবার চাল গম ও ঈদের সময় নগদ টাকাসহ কাপড় পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন নগদ টাকা কাপড়তো দূরের কথা একমুঠো চালও পাই নাই।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হেলেনা বেগমকে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়া উচিৎ। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা মুখ চিনে ভাতা দেয়ার ফলে উপযুক্ত ভাতা পাওয়ার ব্যক্তিরা তা থেকে বঞ্চিত হয়।এ ব্যাপারে ঐ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নন্দলাল সিং জানান, বর্তমানে আমার হাতে কোনো নতুন বয়স্ক ভাতার কার্ড নেই তবে সরকার থেকে যদি নতুন করে কোনো কার্ড আসে তাহলে এই বৃদ্ধাকে (হেলেনা বেগম) বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।