বিলাসপুরের সহিংসতার আরো ১২ আসামি কারাগারে

342

সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দোহার থানার বিলাসপুরের তিন খুনের ঘটনার মামলায় আরো ১২ আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।

রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফরোজা শিউলী শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে এ আদেশ দেন।

এ মামলার এ পর্যন্ত মোট ২৫ আসামি আত্মসমর্পন করেছেন।
আসামিরা হলেন-মোহন চোকদার, ছোরফান শেখ, সেলিম চোকদার-১, লিটন চোকদার, সেলিম চোকদার-২, তোতা চোকদার, বিশা চোকদার, কামাল চোকদার, ওদু চোকদার, শেখ আলী মাতবর, সোহেল  ও খোকন বয়াতি। হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করেন।

আসামিদের পক্ষে আদালতে জামিন শুনানি করেন অ্যাড.শিউলী আক্তার খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল। এ সময় মামলার বাদী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৪ মার্চ এ মামলায় আরও ১৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন- ইসাহাক চোকদার, ইউনুস চোকদার, হুমায়ুন, রহিম, তারা মিয়া, লিয়াকত, রাসেল, আলমগীর, আনিস মাঝি, ছানাচ, জাহাঙ্গীর, তোতা শেখ ও আকতার।

গত ৪ মার্চ কারাগারে পাঠানো আসামিসহ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা জেলা দক্ষিণের গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক।

অন্য খবর  কৈলাইলে মসজিদের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ

গত ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের পরদিন দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের হাজার বিঘাগ্রামে ৬ জানুয়ারি সকালে ৯ টায় আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মান্নান খানের সমর্থক হুকুম আলী চোকদারের লোকজন নির্বাচনে বিজয়ী জাপার অ্যাড.সালমা ইসলামের সমর্থক মুসা খন্দকারের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। ওই হামলায় মুসা খন্দকার, তার ছেলে মাসুদ খন্দকার ও আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাগ্নে মকবুল মুন্সী গুরুতর জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন প্রায় ২০ জন ।

 

আপনার মতামত দিন