বিলাশপুরে শিশুকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা

338
oplus_0

ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের খাজার বাজার এলাকার কাজল আক্তার (৩০) ও তার ছোট মেয়ে তাব্বাসুম (১৬ মাস) এর রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কাজলের স্বামী মো: সিরাজ সৌদি প্রবাসী।

বুধবার দুপুরে বিলাশপুর ইউনিয়নের খাজার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর আগে কাজল একটি চিঠি লিখে যায়। যেখানে লেখা ছিল
“সবার কাছে একটি অনুরোধ, আমার লাসটি ময়নাতদন্তে দিয়েন না। আর আমার স্বামীরে আমার লাসটি দেখাইয়েন না। যদি দেখান তাহলে আমি মরেও শান্তি পাবো না। সবার কাছে আমি খমা চাই। যদি কোন ভুল করে থাকি, তাহলে আমাকে মাফ করে দিবেন। মা আমার খদিজাকে দেখে রেখ আর তোমার কাছে রেখ।
আমার মরা লাসটা যেনো আমার দাফন কাফন করা হয় বাবা বাড়িতে।”

এবিষয়ে তার শাশুড়ি ওসিমন নেছা বলেন, আমার ছেলের বউ প্রতিদিন দুপুরে দরজা আটকে ঘুমিয়ে থাকতো ছোট মেয়ে তাব্বাসুমাকে নিয়ে। আমি বাহিরে গিয়েছিলাম। এসে খাবার জন্য ডাকি। তখন ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে, আমি বউয়ের মাকে ফোন দেই। তখনও ডাকলে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে, আমরা টিনের ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে দেখি, বউ ও আমার নাতনি ঝুলে আছে। তখন আমরা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়। পরে তারা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে।

অন্য খবর  কলেজ ছাত্র দেলোয়ার চারদিন যাবৎ নিখোঁজ

কাজলের মা রিবারন বলেন, আমি এসে দেখি দরজা বন্ধ। তখন টিনের ফাঁকা দিয়ে তাকিয়ে দেখি, আমার মেয়ে ঝুলতেছে। তখন চিৎকার করলে লোকজন এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ের সাথে জামাই এর ড্রাম নিয়ে ঝগড়া হয়। তখন আমার মেয়ে আমাকে জানায়।

স্থানীয় বাসিন্দা রশনা আক্তার জানান, আমার সাথে কাজলের সকাল ৭ টায় কথা হয়। আমি দুধ দিতে আসলে, সে বলে এত সকালে এসেছেন কেন। তখন আমি বলেছি আজকে সকালেই দিব সেজন্য এসেছি।
তিনি আরো জানান, কাজলের অনেক জেদ ছিল, সেজন্য হয়তোবা সে এই কাজ করেছে।

শেখ দেলোয়ার হোসেন জানান, আমরা এসে দেখি দরজা বন্ধ তখন দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকি। পরে দেখি ফ্যানের সাথে দুই ওড়না দুইজনের গলায় পেচানো। পরে আমরা পুলিশে ফোন দিলে, তারা এসে লাশ নামায়।

এ বিষয় দোহার সার্কেল এএসপি আশরাফুল আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। সুরতহাল করে থানায় লাশ নিয়ে আসা হয়েছে। এখনো তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। তারপরও আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতেছি। এটি কি হত্যা না কি আত্মহত্যা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ময়নাতদন্ত হলে আমরা বলতে পারব।

আপনার মতামত দিন