বন্যায় কবলিত গ্রাহকদের সচেতনতায় পল্লী বিদ্যুৎ এর আলোর ফেড়িওয়ালা কার্যক্রম

470
পল্লী বিদ্যুৎ

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওত্বাধীন বন্যায় কবলিত গ্রাহকদের সচেতনতায় ‘আলোর ফেড়িওয়ালা’ ব্যানারে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। মঙ্গলবার ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বান্দুরা সাব জোনাল অফিস এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।  পদ্মার পানিতে ঢাকার নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরো এলাকা পানিতে নিমর্জিত থাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে র্দুঘটনার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বান্দুরা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মো. আবুল কামাল এর নের্তৃত্বে নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন থেকে সচেতনামূলক প্রচারণা শুরু হয়। নৌকায় করে পানিতে নির্মজিত এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়। এছাড়া বন্যায় কবলিত প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে বিদ্যুৎ সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এসময় কেউ বিদ্যুতায়িত হলে খালি হাতে স্পর্শ না করা, বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তাঁর ছিড়ে গেলে এবং যেকোন র্দুঘটনার সংবাদ সাথে সাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। এসময় জনসাধারণকে সচেতনভাবে চলাফেরা করার আহবান করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা। পরে হরিরামপুর থানার গঙ্গারামপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে এবং ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন কর্মকর্তারা। ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের র্দুঘটনা রোধে নানা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে বেঁড়িবাধ থেকে বারুয়াখালী বাজার পর্যন্ত সচেতনার জন্য মাইকিং করা হয়।

অন্য খবর  প্রতীক বরাদ্দের আগেই গালিমপুরে ঝুলছে পোস্টার!

গঙ্গারামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রফিক কাজি বলেন, বর্ষার প্রথম থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন আমাদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের পরামর্শ আমরা মেনে চলা চেস্টা করছি। যাতে কোন র্দুঘটনা না ঘটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদ্দাম মিয়া বলেন, বর্ষার অনেক সময় একটু ভুলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেক র্দুঘটনা ঘটে। সে অর্থে পল্লী বিদ্যুতের এমন কর্মসূচি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা হলেও বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছি ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাধ্যমে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ‘আলোর ফেড়িওয়ালা’ যে কর্মসূচির আয়োজন করেছে তার জন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। এতে র্দুঘটনা কমে যাবে বলে আমি মনে করি।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বান্দুরা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ও এন্ড এম) মো. আবুল কামাল বলেন, আলোর ফেড়িওয়ালার মাধ্যমে জয়কৃষ্ণপুর ও ধুলশুড়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা ও জানমাল বৈদ্যুতিক র্দুঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা প্রতিটি বাড়ি, বাজার ও স্কুলে ক্যাম্পেইন করেছি। মানুষজনকে সচেতন করার মাধ্যমে র্দুঘটনা রোধ করাই আমাদের লক্ষ্য।

অন্য খবর  দোহারে খাস জমি দখলমুক্ত করলেন উপজেলা প্রশাসন

এসময় বারুয়াখালী অফিসের ইনচার্জ, ওয়ারিং ইন্সপেক্টর ও কয়েকজন লাইন ক্রু উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন