ফায়ার সার্ভিস না থাকায় ঝুকির মুখে দোহারে-নবাবগঞ্জের ব্যবসায় ও জানমাল

489

আবু নাইম, নিউজ ৩৯ ♦ দোহার ও নবাবগঞ্জ দুইটি উপজেলার কোনোটিতে এখনো কোনো  ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। ফায়ার স্টেশন না থাকার কারনে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ফায়ার স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার হওয়ার ফলে ঠিক সময়ে দূর্ঘটনা স্থলে এসে পৌছাতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

দোহারের থেকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের দূরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার তেমনি নবাবগঞ্জ থেকে কেরানীগঞ্জের কদমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এ কারনে এই দুই উপজেলায় কোন অগ্নিকান্ড ঘটলে এই সাহায্য পৌছাতে পৌছাতে আগুনে সব কিছু পুরে ছাই হয়ে যায়।

দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হলেও ফায়ার স্টেশন না থাকার কারনে প্রায়ই বিপদে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এই দুই উপজেলায় অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ৪০ টি শাখা, প্রায় ৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছোট-বড় ২০ হাজার ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান, ১৫০ টি বাজার থাকলেও নেই শুধু ফায়ার স্টেশন। ফলে এখানকার বড় ছোট সব ধরণের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অবস্থান করছে ঝুকির মধ্যে।

অন্য খবর  দোহারে নদী ভাঙনে বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন

ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারনে আগুন লেগে প্রায়ই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহুমূল্য সম্পদ, ব্যবসার সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসছে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। কর্তৃপক্ষের প্রতি এই দুই উপজেলাবাসীর দাবী ফায়ার স্টেশনের। এই দুই উপজেলাবাসীও ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষের অতি দ্রুত ফায়ার স্টেশনের স্থাপনের। দোহার-নবাবগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্যোগের অনীহাই দোহার-নবাবগঞ্জে ফায়ার স্টেশন স্থাপন না হওয়ার জন্য দায়ী।

আপনার মতামত দিন