পদ্মার পানি বাড়ছেই; দোহার-নবাবগঞ্জে পানি বন্দি ৫হাজারের অধিক পরিবার

642
দোহার-নবাবগঞ্জে পানি বন্দি ৫হাজারের অধিক পরিবার

দোহারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা পদ্মার পানি প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবাবগঞ্জের সর্বপশ্চিমের ইউনিয়ন জয়কৃষ্ণপুরও আক্রান্ত হয়েছে বন্যায়। প্রতিদিনই পানি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বন্যা আক্রান্ত অঞ্চলের সংখ্যা। পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারনে মাহমুদপুর, বিলাসপুর, নারিশা , নয়াবাড়িসহ নবাবগঞ্জের সিমান্তবর্তী জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ৫হাজারের অধিক পানিবন্দি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট এলাকাটি পদ্মার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়, ও ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পর্যটন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে হিক তেমনি ভাবে আতংকে আছেন এই অঞ্চলের সাধারন মানুষেরা।

টানা এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়  দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের ধোয়াইর বাজারের অংশ ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রাজাপুর, বালেঙ্গা, ঘোষাইল গ্রামের বশেীর ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজার, বিলাসপুরের মধুরচর ,রানীপুর, কৃষ্ণদেবপুর,রাধানগর, মাহমুদপুরের নারায়ণপুর, হরিচন্ডি ও মুকসুদপুরের পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে দোহারের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এক করুন চিত্র, বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে, মাহমুদপুরের হরিচন্ডি গ্রামের প্রায় হাজার খানেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন কাটছে। পানিতে কারো ঘরের অর্ধেকটা ডুবে গেছে। কারো বাড়ির উঠান পানি ঢুকে থৈ থৈ করছে। কোথাও নড়াচাড়ার সুযোগ পর্যন্ত নেই। বিলাসপুরের মধুরচর, রানীপুর, কৃষ্ণদেবপুর, কুসুমহাটী ইউনিয়নের চর কুশাই, চরকুসুমহাটী গ্রামেরও বিরাট অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।

অন্য খবর  ইছামতির ১১ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

পদ্মার ভাঙন ও পানিতে ভাসমান অবস্থায় জীবন কাটছে বিলাসপুর, নয়াবাড়ি, নারিশা, মাহমুদপুরসহ নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কান্তারটেক, ঘোষাইল, রাজাপুর, কেদারপুর,রায়পুরের সাধারণ মানুষ। এসব এলাকার বেশীর ভাগ মানুষের বাড়ীতে পানি ঢুকে পড়েছে।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, দোহারে পানিবন্দি পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। বন্যা আক্রান্ত সাধারন মানুষের জন্য ত্রানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন