আসিফ শেখ, নিউজ৩৯.নেট ♦ যৌতুকের দাবিতে নবাবগঞ্জে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী মো. সোহেল মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। স্ত্রী উম্মে সায়িবা (২০) নবাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আটককৃত সোহেল মিয়া নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের বাংলা বাজার-ঘোষপাড়া গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ রানা জানান, “যৌতুকের দাবিতে মো. সোহেল মিয়া বেশ কয়েকদিন যাবৎ স্ত্রীকে মারধর, এসিডে ঝলসে দেওয়া, অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। স্ত্রীর অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ বাজার থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।”
আপডেট: ঘটনার প্রায় ২০ দিন পর অভিযুক্ত সোহেল মিয়া নিউজ৩৯-কে তার বক্তব্য জানান। তার বক্তব্য-
“আমি আমার স্ত্রীকে ১১ মাসে ৬,৩৯,২৯৭ টাকা নগদ দিয়েছি এবং ৮ ভরি স্বর্ণ দিয়েছি। আপনি যদি ব্যাংকের কাগজপত্র দেখতে চান আমি দেখাতে পারব। আর স্বর্ণের মধ্যে নেকলেস আছে সাড়ে ছয় ভরি, কানের দুল ১.৫ ভরি ও আংটি ০.৫ ভরি। এই জিনিসগুলো আত্মসাৎ করার জন্য ওরা আমার নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে মানুষকে বোঝাতে চায় আমি একটা দুঃচরিত্র লম্পট। আসলে এটা মিথ্যে। আর আমার মাসিক আয় আছে প্রায় ৭০/৮০ হাজার টাকা। আমি কেন যৌতুক চাইতে যাব আপনি বলেন?
শুধু তাই নয় ওর বড় বোনেরও একইরকম ইতিহাস রয়েছে। ওর বড় বোনের স্বামীর কাছ থেকেও এভাবে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই তথ্য আমার ভায়রা ভাই আমাকে দেয়ার পর আমি সব জানতে পারি।
আর এর মধ্যে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে, আমি কিছু টাকা চাই, তাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর আমি বাড়ী চলে আসি।
আমার স্ত্রীকে আনার জন্য গেলে আমাকে দেখা করতে না দিয়ে তারা বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ফেরত পাঠায়। পরে আমাদের মুরুব্বিদের নিয়ে ওদের গ্রামের মুরুব্বীদের কাছে গেলে আমাদের প্রত্যাখ্যান করে। এর পর আমরা পুলিশে অভিয়োগ করলে পুলিশ তাদের ডাকে। কিন্তু তারা থানায় না এসে কোর্টে গিয়ে আমার নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করে, এবং আমাকে গ্রেফতার করে। “