নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনীতির মাঠ ততটাই ঘোলাটে হচ্ছে। চাপা থাকা অন্তঃদন্দ্ব বিস্ফারণ ইতোমধ্যে দোহারের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ঐক্যবদ্ধ দলের দাবি করলেও বাস্তবে আওয়ামীলীগ বি এনপি কয়েক খন্ডে বিভক্ত, দিকভ্রান্ত নেতা-কর্মী আর যোগ্য নেতৃত্বের বঞ্চনায় বিরক্ত আমজনতা।
মূলত দোহার বি এন পি র একচ্ছত্র নেতৃত্বদানকারী সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড, বি এন এফ প্রতিষ্ঠা দলে তার পূর্বের শক্ত অবস্থান চুত্যির অন্যতম প্রধান কারন, যা হুদার সাথে সাথে দোহার বি এন পি র নেতৃত্বকেকে পরিনত করেছে দিকভ্রান্ত মরুচারিতে। রাজনৈতিক স্টান্টবাজিতে যে যত জোর দিয়েই দাবি করুক না কেন, দোহারের অধিকাংশ জনগণ বর্তমান বিএনপিতে নাজমুল হুদার উত্তরসূরি কাউকে খুজে পাচ্ছেন না।
হুদার বিকল্প হিসাবে খুজতে গেলে তরুন- প্রবীন যাদের নাম প্রথমে ভেসে উঠে তাহারা দোহারের আলো বাতাসে বেড়ে উঠা কেউ নয়। দোহার-নবাবগঞ্জ একটি আসনের বদৌলতে বি এন পির মনোনয়ন যে দোহার থেকে কেউ পাচ্ছে না, তা দিবালোকের মত স্পট। সেই ক্ষেত্রে বি এন পির প্রার্থী হিসাবে নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আশফাক নয়, ঢাকা জেলা বি এন পি সভাপতি আব্দুল মান্নানই এগিয়ে আছেন।
বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের বর্তমান জনপ্রতিনিধি এলাকার উন্নয়নে কতটুকু মনোনবেশ করেছেন, কতটুকু জনতুষ্টি লাভে সক্ষম তার বিশ্লেষণ করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়,সময় সুযোগ হলে পরবর্তীততে লিখব।
কিন্তু তিনি যে দোহার আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়াছেন, সেটা অসত্য নয়। আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার পরম আস্থা ভাজন হিসেবে সুপরিচিত পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান মনোনয়নের দৌড়ে নূর আলীকে পিছনে ফেলতে পারবেন কি না, সেটা এখন লাখ টাকার উত্তর।
জাতীয় নির্বাচনে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দীকারী নূর আলী অপেক্ষাকৃত অধিক ভোটার এলাকার বাসিন্দা হওয়া ছাড়াও তিনি নেত্রীর সুবিবেচনাধিনও বটে। এছাড়া জনপ্রিয় আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুর রহামান, মান্নান খান বা নূর আলীকে ডিঙিয়ে মনোনয়ন বগলদাবা করতে পারার দিবাস্বপ্ন দেখতে আমি রাজি নই। তবে শেখ হাসিনার বানিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান যদি এই আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, সেই ক্ষেত্রে হিসাব পাল্টে যেতে পারে।
কিন্তু তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোন গুজব এখনো দোহার-নবাবগঞ্জের বাতাসে শুনা যাচ্ছে না। তাই এখন পর্যন্ত নূর আলীকেই প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে রাখতে চাই।
অন্যদিকে ঢাকা-১ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদায়, সংরক্ষিত মহিল এমপি এড. সালমা ইসলাম অন্যতম প্রার্থী। সিদ্ধান্তহীন এরাশাদ শেষ পর্যন্ত যেই জোটেই যোগ দিক বা একক ভাবে নির্বাচন করুক, নবাবগঞ্জ বাসী সালমা ইসলামের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। আবেগে অনুপ্রানিত হয়ে অনেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার জয়ের স্বপ্ন দেখলেও, বাস্তবতা অনেক বৈরী।
রাজনীতির সুক্ষ্ম মারপ্যাঁচ, জটিল হিসাব নিকাশ, জনপ্রিয়তার দম্ভ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে যেভাবেই চিন্তা করি না কেন, আমার চোখের সামনে একটাই ছবি বার বার ভেসে উঠে….”নেতৃত্বশুন্য দোহার আর আমাদের অসহায় আকুতি।”
কার্টেসি: Friendzz N Enemizz