নবাবগঞ্জে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে মো. মাহমুদ (৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র গুরুত্বর আহত হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের জৈনতপুর আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের আশরাফুল ইসলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক। আহত মাহমুদ ঐ মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র এবং স্থানীয় মো. সাকিব মোল্লার ছেলে।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে ক্লাশ চলাকালিন সময়ে মাহমুদ হৈ চৈ করলে শিক্ষক আশরাফুলতাকে বেধর মারধর করেন। শুধু মারধর করেই সে ক্ষান্ত থাকেনি ঐ শিক্ষক। সে মাহমুদকে বেত্রাঘাতের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ে মাহমুদ ঘটনাটি কাউকে জানাইনি। বিকালে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রদের মাধ্যমে ঘটনাটি বাহিরে জানাজানি হয়ে যায়। এই সময় মাহমুদের পরিবার তাকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম গা ঢাকা দেন। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। তবে সন্ধ্যায় স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ এর সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্খিতি স্বাভাবিক হন।
মাহমুদের কয়েকজন সহপাঠি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ক্লাশে দুষ্টামী করায় প্রথমে স্যার মাহমুদকে খারাপ ভাষায় বকাঝকা করেন। এক পর্যায়ে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বেত্রাঘাত করলে সে গুরুত্বর আহত হয়ে পড়েন। এ সময় স্যার মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঘটনাটি কাউকে জানাবি না। জানালে তোকে মেরে নতুন যে বিল্ডিং তৈরি করেছি সেখানে সন্ধ্যায় জানাজা দিমু।
আহত মাহমুদের মা রিমা বলেন. ভাবতে পারি না একজন শিক্ষক কিভাবে ছাত্রদের এভাবে মারতে পারে। ৮দিন যাবত শিক্ষক ছেলেটিকে বাসায় আসতে দেন না। দুষ্টুমীর কারণে ওকে এত মারধরের করেছে যে ছেলেটি আমার ভয়ে কথা বলছে না। আমি ঐ শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
স্থানীয়রার জানান, শিক্ষক আশরাফুলের বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আমরা তাকে কিছু বলি নাই। কিন্ত এবার সে যে কাজটি করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বেত্রাঘাতের কথা স্বীকার করে বলেন, ছেলেটির সাথে অন্য একটি ছেলের সমকামিতা রয়েছে। তাই তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। তবে তার সাথে মাহমুদের সমকামিতা রয়েছে এ ব্যাপারে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি। এ সময় তিনি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।