নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রকট হচ্ছে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কোন্দল। এর চুড়ান্ত ফল দেখা গেল সোমবার। নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে বিএনপির এই দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল ও হাত বোমা নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টা থেকে উপজেলার বাগমারা কোর্ট ভবনের দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার শুরগঞ্জ বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান সমর্থিত উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আনন্দ মিছিল নবাবগঞ্জের দিকে রওনা হয়।
অপরদিকে বিএনপি জাতীয় কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আশফাক সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা নবগঠিত কমিটিকে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ বলে অভিযোগ করে নবাবগঞ্জ বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শুরগঞ্জের দিকে যেতে থাকে। পথিমধ্যে উভয় পক্ষ বাগমারা কোর্ট ভবনের সামনে গেলে মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ শুরু হয়।এ সময় আফছার উদ্দিন (৩২) ও চয়ন (২২) নামে দুইজন আহত হয়। আহতরা মান্নান গ্রুপের বলে জানা গেছে।
একপর্যায়ে মান্নান গ্রুপের নেতাকর্মীরা আশফাকের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে নবাবগঞ্জের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় মান্নান গ্রুপের আফছার ও চয়ন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে, হাত বোমা নিক্ষেপ করে এবং একটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাসুদ করিম নিউজ৩৯কে জানান, নবগঠিত কমিটি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য প্রশাসন ঢাকা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ধানমন্ডির আব্দুল মান্নানের নিজ বাসভবনে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়।