ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় কায়কোবাদের ১৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নানা আয়োজনে তাকে স্মরণ করা হয়েছে। মহাকবি কায়কোবাদের ১৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকার নবাবগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যায় আগলা চৌকিঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নানা আয়োজনে কবিকে স্মরণ করেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় বক্তারা কবির নিজ গ্রাম নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়ায় বেদখল হওয়া বসতভিটা উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ ঢাকা-১ সালমান এফ রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে মহাকবির জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি নাজিম আল কোরাইশী। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, বাংলাদেশ যতদিন আছে, তার নামও থাকবে ততদিন এবং তার যে কাব্য কবিতা লেখা সেই লেখা দেশের অনেক কল্যান মূল্যক কজে এসেছে।
পরে বক্তব্য রাখেন কলাকোপা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব ইব্রাহিম খলিল। তার বক্তব্য তিনি বলেন, দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার গৌরব যে আমাদের একজন মহাকবি রয়েছে। কিন্তু আজ এই প্রোগ্রাম দেখে খুব কষ্ট লাগে এই ভেবে যে এত সুন্দর একটা প্রোগ্রামে দুই চারজন নেই কোন আগলা বাশি। আমি মনে করি এই কবিকে অপেক্ষা করে অনেকে অনেক বড় হয়েছে, কিন্তু ভূলে গেছে কবির স্মৃতি। কবির স্মৃতি ধরে রাখতে কবির নামে করা হয়েছে কায়কোবাদ সেতু, কায়কোবাদ গেইট, কায়কোবাদ চত্বর।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মাসিক সমনয় সভায় আলোচনা করবো কায়কোবাদের জমি কি ভাবে উদ্ধার করা যায়। আমি ঢাকা-১ আসনের সংসদ সালমান ফজলুর রহমানের সাথে কথা বলবো এই বিষয় নিয়ে।
মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, ঢাকা মিল্লাত উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গাজী বখতিয়ার হোসেন শ্যামল, মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আরশাদ আলী, মো. আজাদ প্রমুখ।