ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় চালু হতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি। এই স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি আওতায় যে সব রোগীরা থাকবে তারা সবাই সহজেই ডাক্তার দেখাতে পারবেন। এবং তারা অন্যদের থেকে বেশী সুবিধা পাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য জানান, যারা এই স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থাকবে তাদেরকে একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে যেটি দিয়ে তারা সব ধরনের চিৎসা করাতে পারবে এবং ডাক্তারও দেখাতে পারবেন। এই
স্বাস্থ্য বীমা কার্ডটি হবে আন্তজার্তিক মানের। এই কার্ডটি দিয়ে তারা বিদেশেও চিৎসা করাতে পারবে। এই কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা থাকবে, তিনি পূর্বে এই কার্ড দিয়ে কত ধরনের চিৎসা করেছে এবং কি কি ধরনের ঔষধ খেয়েছে ও কোন ডাক্তার তাকে দেখেছে সব কিছু এই কার্ডের মাধ্যমে জানতে পারবে শো করলেই।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য সূত্রে জানান, স্বাস্থ্য বীমা হল আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনার সবচেয়ে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য উপায়। মানুষ ভর্তুকি মূল্যে দ্রুত ও জরুরি পরিষেবা পাবেন। কোনো কোনো লুকানো খরচ ছাড়াই বিশ্বমানের মানের পরিষেবা খুব কম খরচে পাবেন৷ কমিউনিটি পর্যায়ে সেবা পাওয়া গেলে উচ্চস্তরের হাসপাতালের রোগীর চাপ অনেক কমবে যাবে। এ সুবিধায় নূন্যতম খরচে ডায়াগনোস্টিক সেবা এবং জরুরি সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিপুল রাজস্ব সাশ্রয় করে সরকার উপকৃত হবে, জনগণের নিজস্ব ব্যয় হ্রাস পাবে এবং বিনা খরচে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে।
শনিবার সকাল দশটায় স্বাস্থ্য বিমার বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহার উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জসীমউদ্দিন বলেন, দোহার এবং নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি এই এলাকার জনগণের ন্যূনতম খরচে উচ্চমানের জনস্বাস্থ্য সেবা পেতে উৎসাহিত করবে। দোহার এবং নবাবগঞ্জে পরিচালিত এই প্রকল্পটি সফল হলে তা সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে এবং তা বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কাভারেজ অর্জনে সহায়তা করবে।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে ভারতের একটি সংস্থার সাথে আমাদের কথা চলছে চিৎসার বিষয়। এটি হলে এই কার্ডের মাধ্যমে রোগীরা ভারতেও গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারবে। দোহার ও নবাবগঞ্জে প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচিতে করণীয় ঠিক করতে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।