দোহারে সূর্যমুখী ফুলের চাষ

686
দোহারে সূর্যমুখী ফুলের চাষ

ঢাকার দোহারের কৃষকরা দেখছেন সূর্যমুখী হাসি, আগে এরুপ সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহ পায়নি কৃষকরা তাদের চিন্তা ধারা পাল্টে দিতে দোহার কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ দিয়ে দোহারের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা মুলক ভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।

সূর্যমুখী ফুল দেখতে কারনা ভাল লাগে। শুধু রুপে নয় গুণেও ভরপুর সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যেও জন্য খুব উপকারি পুষ্টিগুণে অন্যসব তেলবীজ থেকে শ্রেষ্ঠ অন্যান্য তেলবীজে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান (কোরেস্টেরল, গ্লুকোসিনোলিক এসিড, ইউরোসিক এসিড) থাকে সূর্যমুখীতে তা নেই। বরং আরও উপকারী উপাদান ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক পুষ্টিবিদদের দেয়া তথ্যমতে সূর্যমুখী তেলে আছে প্রায় শতকরা ৯৯ ভাগ উপকারী ফ্যাট আছে মানব দেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৬, ওমেগা ৯, আছে অলিক এসিড। ভিটামিন ই, ভিটামিন কে এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, আছে মিনারেল। চমৎকার এনার্জিও উৎসও সূর্যমুখী তেল। সরিষা, সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখী তেলে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ কম। সয়াবিন তেল বেশীদিন সেবনে ক্যানসার, ডায়াবটিস ও হ্রদরোগের ঝুকি বাড়ায়।

ভারত সহ উন্নত দেশগুলোতে সূর্যমুখীর তেল খুবই জনপ্রিয়। আমরা বিদেশ থেকে সয়াবিন ও পামওয়েল তেল আমদানি করি, দেশে সরিষা চাষ করি তাতে আছে ঝুকিপূর্ণ উপাদান। অথচ আমরা যদি দেশীয়ভাবে সূর্যমুখীর বীজকে প্রাধান্য দিয়ে রিফাইন্ড না করেও শুধু ঘানিতে বীজ থেকে তেল সংগ্রহ করি তা সরিষা, সয়াবিন তেল থেকেও বেশী পুষ্টিকর ও সুস্বাস্থ্যকর। আমাদের তেল সংক্রান্ত জটিল সব অসুখের হাত থেকে মুক্তি পেতে, তেলের ব্যবহার বাদ দিতে হয় খাবারে, তেলের ও দরকার আছে খাবারে। সেই অর্থে সূর্যমুখীর তেল হতে পারে আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

অন্য খবর  ১৯৮৮ সালের চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই ভাই খুন; ৬ জনের যাবজ্জীবন

এ বিষয়ে একজন সফল কৃষক হাশেম তালুকদার বলেন, আমি জানতাম না এতো ভালো ভাবে আমাদের জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যাবে? কখনো সূর্যমূখী চাষ করি নাই এবারই প্রথম। আমি এর চাষ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি আমার এই খেতে আগে মাশকলাই আর ধইঞ্চা বুনতাম। দোহার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা স্যারেরা আমাদের ক্ষেতে এসে সূর্যমূখী বুনা শিখায়াছেন। আমার খেতে সূর্যমূখীর ভালো ফল এসেছে। সামনের বছর আমি স্যারদের সাহায্য পেলে আমার পুরো জমিনে সূর্যমুখী চাষ করবো।

এ সময় দোহার উপজেলা কৃষি অফিসার মামুন ইয়াকুব বলেন, দোহারের কৃষি জমির মাটি খুবই উর্বর কিন্ত সঠিক সময় সঠিক ফসল নির্বাচন করে চাষ করতে পারেনা কৃষকরা। তাই দোহারে কৃষি অফিসের উদ্যোগে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং নিয়মিত মাঠ পরিদর্ষন করছি।

তিনি আরো বলেন, কৃষক আগে সূর্যমূখী চাষ করেনি; তাই বিনামূল্যে স্বল্প পরিমানে কয়েকটি কৃষি জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমূখীর বীজ বপন করি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফলন এসেছে। ফলন দেখে কৃষকরা খুশী তিনি আগামীতে সূর্যমূখী চাষে আগ্রহ হবে বলে আশা করেন।

আপনার মতামত দিন