দোহারে সাংবাদিক শরিফ হাসানের উপর বর্বরোচিত হামলা

549
দোহারে সাংবাদিক শরীফ

ঢাকা জেলার দোহারে জয়পাড়া কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সাংবাদিক শরীফ হাসান ছাত্রলীগের কিছু নেতা- কর্মীর হামলার শিকার হয়েছে দৈনিক আজকের পত্রিকার দোহার প্রতিনিধি এবং news39.net এর স্টাফ রিপোর্টার শরীফ হাসান মিয়া।

আহত শরীফ হাসান দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার জয়পাড়া কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ব্যাপারে দোহার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন মহল থেকে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। 

আহত সাংবাদিক শরীফ হাসান হামলার বিষয়ে বলেন, ‘জয়পাড়া কলেজে সংঘর্ষ এর সংবাদ সংগ্রহ করতে কলেজ গেটে যাই। কলেজের বাহিরে ঢাকা – দোহার সড়কে দাড়িয়ে ছবি তোলার সময় আহমেদ ঈশান এবং অমিত পালসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাকে মারধর করে এবং আমার বুকে লাথি মারে। এসময় তারা আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনার বিষয়ে দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। ঘটনার সঙ্গে যদি ছাত্রলীগের কোনো কর্মী জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, কোনো একজনের অপরাধের দায় সংগঠন গ্রহণ করবে না। আর শরিফ আমাদের অনেক প্রিয় কাছের ছোট ভাই। ’ 

অন্য খবর  উদ্বোধন করা হলো নারিশা ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার ল্যাব

এ ঘটনায় দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সানি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

দোহার প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারাই এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে সাংবাদিককে দেখতে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান শান্ত বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক হিসেবে চিনতে না পারায় কিছু কর্মী হাত তোলায় আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শরিফ ভাইকে সেভ করি। ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করেন। এবং পরবর্তীতে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সাংবাদিক শরিফ হাসানকে দেখতে যান এবং তার মোবাইল উদ্ধার করে ফেরত দেন। এছাড়া অভিযুক্ত কয়েকজনকে নিয়ে তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করান।

আপনার মতামত দিন