দোহারে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে। দোহার উপজেলা প্রশাসন সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউনের প্রথমদিনে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে। মুকসুদপুর থেকে বাহ্রাঘাট এলাকা পর্যন্ত টহল দিচ্ছে, দোহার উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দোহার উপজেলার জয়পাড়া বাজারে হাট বসে। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ মাহমুদ নাঈম নিজে মাইকিং করেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-কাটা করার জন্য। সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এসময়ে সবজির বাজার দ্রুত ফাঁকা হয়ে যায়। পুলিশের টহল গাড়ীসহ লকডাউনের টহল দিতে দেখা যায়।
জয়পাড়া বাজারে ক্রেতাদের ভিড় তেমনটা দেখা যায়নি। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে দোহার থানা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। তদারকি করছে মানুষের গতিবিধি। অকারণে কেউ বাইরে যেন বের না হয় সেজন্য তারা অনেক রিক্সা ও ইজিবাইক যাত্রীদের জিজ্ঞেসা করছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে দেখা গেছে অনেককে।
তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে যারা বাজারে যাচ্ছেন তাদের বাঁধা দেয়া হচ্ছে না। মেঘুলা বাজারের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। শুধু ঔষধের দোকান ও কাঁচামালের দোকান খোলা রয়েছে।সকল রাস্তা ফাঁকা ছিল।
এসময় কার্যক্রম তদারকি করেন দোহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ।এসময় তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে। ঘরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, করোনা মোকাবেলায় সহযোগিতা করুন।অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অপরকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করুন। সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় লকডাউন পালনে কঠোর অবস্থানে মাঠে ছিলেন,দোহার উপজেলার সহকারি কমিশনা( ভূমি)জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র,দোহার থানা পুলিশ ফোর্স সহ আনসার বাহিনী।