দোহারে মসজিদ কেন্দ্র করে সংঘর্ষ: আত্মরক্ষার্থে ৯৯৯-এ ফোন

472
দোহারে মসজিদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষঃ আত্মরক্ষার্থে ৯৯৯ ফোন

মো: আল – আমিন, শেখ সোহেল, জুবায়ের শরিফঃ ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের উত্তর শিমুলিয়া এলাকায় পাশাপাশি দুইটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তর শিমুলিয়া এলাকায় একটি মসজিদের জমি ওয়াকফো করা না থাকায় জুম্মার নামাজ পড়তে রাজি হয়নি বেশকিছু মুসুল্লি। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্যত্র একটি জমি দারুল উলুম হেফযু উম্মাহ নামে ওয়াকফো করে নেয়, স্থানীয় বেশ কয়েকজন। সেখানে মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় শুরু করেন। এতে ক্ষীপ্ত হন পূর্বের মসজিদের কিছু মুসুল্লী। তারা স্থানীয় দেলোয়ার বাদশার বাড়িতে ডেকে নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণের পক্ষে থাকা আব্দুল জলিলসহ অন্যান্যদের মারধর করা হয়।

আহতরা অভিযোগ করেন, মীমাংসার জন্য ডেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটু খালাসী, বিল্লাল খালাসী,আক্তার খালাসী, স্বপন খালাসী,বিদ্যুৎ খালাসী,শান্ত খালাসী,জাকির মোড়লসহ অজ্ঞাত আরও ১৪/১৫ জন তাদেরকে মারধর করেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এসময়, বাধা দিলে একই পরিবারের আব্দুর রব, রোকসানা ও অজুফা বেগমকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অন্য খবর  দোহারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

আহতরা আত্মরক্ষার্থে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে, পুলিশ  আহতদেরকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহত আব্দুল জলিল এর শালক তুহিন মোল্লা বলেন, তারা মসজিদ উঠাইতে দিবে না। এ বিষয় নিয়ে  চেয়ারম্যান নিকট গিয়েছিল। তখন সে বলছিল; মসজিদ উঠাও। সেই সাথে নারিশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মসজিদ উঠানোর অনুমতি দেওয়ায় এলাকাবাসী মিলে মসজিদটি উঠায়। মসজিদ উঠানোর পরে খালাসীরা বিচারের নামে এক জায়গায় বসায়ে পরিবারের সবাইকে মারধর করে।

অভিযুক্ত বিল্লাল খালাসীকে ফোন দিলে তিনি বলেন, পাশাপাশি দুইটি মসজিদ দুই পক্ষের হওয়ায় আমরা বলছিলাম নির্বাচনের পরে বসে সমাধান করব। পরে তারা অপেক্ষা না করে মসজিদ নির্মাণ করেন। রবিবার সবাইকে নিয়ে বসলে, ওদের পক্ষ থেকে ভিডিও করায় সেখানে  ঝামেলায় চর-থাপ্পরের  ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ঘটু খালাসী বলেন, হামলার বিষয়ে সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট সেখানে উপস্থিত ক্ষেত্রে প্রশাসনের লোকজন ছিল। ওই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নি।

অভিযুক্ত আক্তার খালাসী বলেন, এখানে এক স্থানে দুটি মসজিদ হতে পারেনা। কমিটি করে একটি মসজিদ থাকলে শান্তি ফিরে আসবে। এ সময় তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে অন্য একটি মসজিদ দিয়েছে।

অন্য খবর  ব্যস্ততা নেই দোহারের কামারশালায়

উক্ত ঘটনার বিষয়ে নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তারা মসজিদ দূরে থাকায় নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুমতি চাওয়ায়, আমি অনুমতি দেই। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান অবহিত আছেন, তিনিও জনস্বার্থ অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মাণের কথা বলেছেন। তবে, আমরা পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে পারি। বিষয়টি পুলিশের তদন্তানাধীন হওয়ায় এবিষয় নিয়ে এখন আর মন্তব্য করতে চাই না। তাই, সকলের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।

এ ব্যপারে দোহার থানা ওসি তদন্ত আজহারুল ইসলাম বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে এবিষয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত দিন