ঢাকা থেকে দোহার উপজেলায় দূরত্ব রয়েছে মাত্র ৫৫ কি. মি.। দোহারের মানুষকে শহরে যাতায়াতের জন্য চালু রয়েছে দুটি বাস পরিবহন সার্ভিস। একটি আরাম অন্যটি নগর পরিবহন। এই দুটি পরিবহনের চাপাকলে পিশে মরছে দোহারের শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীগণ।
যাহার প্রতিক্রিয়া ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে।
দোহার উপজেলার নারিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করে দোহারের শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ কমিটি। উক্ত মিটিংয়ে যে চিহ্নিত কিছু সমস্যাসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয় তা নিন্মরুপঃ
১। যাত্রী ভাড়া সহনীয় পর্যায় নেই।
২।নিবন্ধনে সিটিং সার্ভিস থাকলেও, বাস্তবে সিটিং সার্ভিস নাই।
৩। নগর পরিবহন আরাম পরিবহনকে আটকিয়ে রাখে, সাইড দেয় না। এতে সাধারণ মানুষ ভুগান্তির শিকার।
৪। জয়পাড়া থেকে মেঘুলা পর্যন্ত বাস চলে পিঁপড়ার গতিতে। নগর আরামকে পথ দেখিয়ে নেয়, যেন মা তার শিশুকে পথ দেখিয়ে নিচ্ছে!
৫।পর্যাপ্ত পরিমানে পরিবহন ব্যবস্থা নাই।
৬। শিক্ষার্থীদের সাথে ভাড়া নিয়ে দুর্ব্যবহার করে, স্টুডেন্ট ভাড়া দেওয়ায় অপমান ও অসদাচরণ করে।
৭। মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা নাই।
৮। বাসের সিটে অসহনীয় দুর্গন্ধ, পরিষ্কার থাকে না।
৯। ঢাকা যাতায়তে স্টুডেন্টদের জন্য হাপপাশ নেই।
১০। সিডিউল মত বাস পাওয়া যায় না।
১১। বৃহস্পতিবার এবং উৎসবগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া বাড়ায়।
১২। কাউন্টারগুলোতে অযথা লেট করে।
১৩। মহিলা এবং শিক্ষার্থী দেখলে বাস থামাতে চায় না।
এমতাবস্তায় মিটিংয়ে গৃহিত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শঃ
১। স্থায়ী ভিত্তিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গঠন করতে হবে।
২। দোহারের প্রতিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের অবগত করে তাদেরকে সাথে নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
৩। উপজেলা ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে সবসময় যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
৪। প্রতিটি স্কুল ও কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে।
৫। দোহারের প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়াতে ও শ্রীনগরের বালাশুরে শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের নিয়ে মানববন্ধন করতে হবে।
৬। যাত্রী অধিকারের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিবহন কর্তৃপক্ষেকে অবহিত করতে হবে।
৭। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও প্রশাসনকে সাথে নিয়ে, তাদের সাথে আলোচনা করে পরিবহন সমস্যা সমাধান করবো।
৮। এ বিষয়ে ঢাকা-১( দোহার,নবাবগঞ্জ) আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমান, মুন্সিগঞ্জ-১( শ্রীনগর ও সিরাজদিখান) আসনের সাংসদ মাহী বি চৌধুরী, কেরানীগঞ্জের সাংসদ কামরুল ইসলাম ও নসরুল হামিদ বিপুর এবং প্রত্যেকটি উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করতে হবে।
৯। সালমান এফ রহমানের সহয়তা নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে বিআরটিসি বাস চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।