তীব্র শীতে দোহার-নবাবগঞ্জে গরম কাপড় কেনা-বেচার ধুম

377
তীব্র শীতে দোহার-নবাবগঞ্জে গরম কাপড় কেনা-বেচার ধুম

জোবায়ের শরিফ, নিউজ৩৯ঃ চারিপাশে শীতের শৈত্য প্রবাহ। শীতের কাপুনিতে জন-জীবন বিপর্যস্ত ও জুবুথুবু। দোহার নবাবগঞ্জে টানা দুই দিনের তীব্র শীতে গরম কাপড় কেনা-বেচা বেড়েছে। দোহার নবাবগঞ্জ মার্কেটগুলো ছাড়াও ফুটপাতেও জমে উঠেছে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভীড় দেখা যাচ্ছে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। সাধারণত মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষের আস্থা এসব মার্কেট ও ফুটপাত।

শুক্রবার সকাল থেকেই এমন দৃশ্য দেখা গেছে দোহার উপজেলার মুক্তি যোদ্ধার মার্কেটের বিপরীত পাশে বসা অস্থায়ী ফুটপাতে, জয়পাড়া বাজার সংলগ্ন এবি ব্যাংকের সামনে, মেঘুলা বাজারে ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বাজারে। বুধবার ভোর থেকেই দোহার নবাবগঞ্জ এ তীব্র শীত অনুভুত হতে শুরু করে। দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সূর্যের। সূর্য-মামা যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে।

এই কারণে দোহার নবাবগঞ্জ মার্কেটগুলোতে শীতের কাপড় বেচাবিক্রি বেড়েছে। দোকানিরাও শীতের কাপড় সাজিয়ে রাখছে। তবে বেশি বেচাবিক্রি ও সরগরম দেখা গেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। অস্থায়ী দোকানিরা একটু লাভের আশায় ফুটপাতে বসে পড়েছে। ক্রেতারাও কিনছেন নিজেদের চাহিদা ও সাধ্যমত কাপড়।

দোহার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের বিপরীত পাশে বসা অস্থায়ী দোকানদার সজীব জানান, বুধবার ভালো বেচাকেনা করেছি, আজ শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভীড় রয়েছে। শীত আর কয়দিন থাকলে আমাদের ব্যবস্থার লক্ষ্য পূরণ হবে শীতের সিজনে (মৌসুম)। এ ছাড়া শীতের যে জামা কাপড় উঠিয়েছি তাও আমরা মোটামুটি বিক্রি করতেছি।

অন্য খবর  দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন

নবাবগঞ্জ এ মার্কেটে শীতের জামা কিনতে আসা ক্রেতা তানিয়া বেগম বলেন, তিন সন্তান ও নিজের জন্য গরম পোশাক কিনতে এসেছি। গত শীতে ভালো গরম কাপড় না থাকায় আমার সন্তানরা কষ্ট পেয়েছে। তাই এবার আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি শীতের জামা কাপড় কিনতে চলে এসেছি।

তবে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষদের পোষাক কিনতে না পারায় অনেককেই বিষন্নমুখে চলে যেতে দেখা গেছে।

আপনার মতামত দিন