ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতাই পারে আমাদের করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে। মার্চ মাসের ৮ তারিখে প্রথম করোনা ধরা পরে আমাদের দেশে। এর পর পার হলো চারটি মাস। মানুষ প্রথম দিকে সচেতন থাকলেও এখন অনেকটাই উদাসীন। এ যেন করোনায় আক্রান্তের হারের বিপরীত।
যখন করোনা সক্রমণ কম ছিল মানুষ সচেতন বেশি ছিল এখন সক্রমণ বেশি আর সচেতন কম। তাই ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং অপরকে এ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এখন অনেকেই বাসায় গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুচ্ছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। হেন্ড শেক অহেতুক ঘুরা ফেরা বেড়ে গেছে অনেক হারে। এর অন্যতম কারন এই দীর্ঘ সময়।
আসলে আবদ্ধ থাকতে আমরা অভ্যস্ত নই, বিশেষ করে দোহার মানেই বাইক নিয়ে ঘুরা ফেরা, যেটা দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। আমরা অনেকেই ঢাকা শহর ত্যাগ করে গ্রামে অবস্থান করছি যার ফলে যুবক সমাজ এখন একইসাথে। আমাদের উচিত অন্যকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজে সচেতন থাকা।
দোহারে আক্রান্তের সংখ্যা ২২০। এই পরিস্থিতি কোন রূপ ধারন করবে তা অজানা। তাছাড়া সরকার ঘোষিত লোকডাউন উঠিয়ে দেওয়ার ফলে আমাদের করোনার আতংক অনেকটাই কমে গিয়েছে। যার ফলে আমাদের সচেতনতা হ্রাস পেয়েছে যা করোনা সক্রমণ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হচ্ছে। তাই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে।
আমি আমাদের দোহারের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তারা সকল কার্যাবলী সঠিক ভাবে পালন করছেন। আমদেরও তাদের সহায়তা করা উচিত তাদের নির্দেশনা পালনের মধ্য দিয়ে। সর্বদা এই দোয়া করি পৃথিবী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, আমাদের প্রাণের দোহার ফিরে পাক সেই আমেজ, আবার হয়ে উঠুক আমাদের জীবন কর্মচঞ্চল।
মো: আরিফিন নয়ন
সুন্দরীপাড়া,
কুসুমহাটি,
দোহার, ঢাকা